ঢাকা, ৯ আষাঢ় (২৩ জুন) :

কোরবানি উদ্‌যাপনে সরকারের পক্ষ থেকে পরিপূর্ণ প্রস্তুতি আছে বলে
জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

আজ রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন
ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ ও অবাধ পরিবহণ
নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা
জানান।

এ সময় তিনি বলেন, অন্যান্য বছরের মতো এবারও কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ
করা হয়েছে। কোরবানির চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত পশু প্রস্তুত আছে। এবার
কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ১ কোটি ২১ লক্ষ ২৪ হাজার ৩৮৯টি। ফলে কোরবানির জন্য
কোনোরকম সংশয়, সংকট বা আশঙ্কার কারণ নেই। কোরবানির হাটে আইনশৃঙ্খলা
রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত সদস্য নিয়োগ করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য ঈদুল আজহা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
অধ্যায়। এটি যাতে স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে এবং পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে উদ্‌যাপন করা যায়
সে লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও সরকারের অন্যান্য দপ্তর-সংস্থা
কাজ করছে। তিনি বলেন, বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও কোনো খামারি নিজ বাড়ি
থেকে পশু বিক্রি করলে তাকে হাসিল দিতে হবে না। কোনো খামারি তার পশু দূরবর্তী হাটে
নিতে চাইলে, রাস্তাঘাটে জোর করে নামাতে বাধ্য করা যাবে না। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় সরকারের ইউনিট তথা পৌরসভা, উপজেলা বা ইউনিয়ন
পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন এ বিষয়টি নিশ্চিত করবে। হাটে আনার পথে কেউ প্রাণী বিক্রি
করলে তার কাছ থেকে ইজারা গ্রাহক জোর করে চাঁদা বা হাসিল গ্রহণ করতে পারবে না।
তিনি বলেন, অনলাইনে ক্রয়কৃত গরু পছন্দ না হলে টাকা ফেরত নেয়ার ব্যবস্থাও এবছর
সংযোজন করা হচ্ছে। যাতে ক্রেতারা কোনোভাবেই প্রতারিত না হয়।

মন্ত্রী বলেন, মহাসড়কে বা যেখানে হাট বসালে যান চলাচল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে
এমন কিছু যাতে না হয় এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হবে। সড়কে
বা সেতুতে কোরবানির পশু পরিবাহী গাড়িকে প্রাধান্য দেওয়া হবে, যাতে রাস্তায় পশু
আটকে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না হয়। এক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে একটি
নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হবে। অধিদপ্তরের হটলাইন ১৬৩৫৮ চালু থাকবে। পশু
পরিবহণে খামারিদের সমস্যা সমাধানে এ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ কাজ করবে।

তিনি আরো বলেন, সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চলে সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত
এলাকায় গবাদিপশুর খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে, চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার বিষয়টিও চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। কোরবানির সময়
যাতে ঐ অঞ্চলে দেশের অন্য অঞ্চল থেকে পশু যেতে পারে সে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী,
অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, মো. তৌফিকুল আরিফ ও এস এম ফেরদৌস
আলম, বিভাগীয় কমিশনারগণ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর
মোহাম্মদ শাহজাদাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও উত্তর-দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।