ঢাকা, ২ চৈত্র (১৬ মার্চ) :
কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ ও ইরাকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক
(এমওইউ) স¦াক্ষরিত হবে। সমঝোতা স্মারকের জন্য শীঘ্রই একটি খসড়া প্রণয়ন করা হবে।
এছাড়া, বাংলাদেশ থেকে আম, সবজি ও আলু নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ঢাকায় ইরাক দূতাবাসের
চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আব্দুসসালাম সাদ্দাম মুহাইসেন।
আজ সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের সাথে বৈঠকে আব্দুসসালাম সাদ্দাম
মুহাইসেন এ আগ্রহের কথা জানান। এছাড়া, তিনি বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে সাফল্যের উচ্ছ্বসিত
প্রশংসা করেন। এসময় কৃষিসচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সাথে ইরাকের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কীভাবে
আরো বাড়ানো যায়- তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। ইরাক, ভারত ও তুরস্ক থেকে কৃষিপণ্য
আমদানি করে। ইরাকের অর্থনৈতিক অবস্থা এখন ভালো। তারা কৃষিখাতে সহযোগিতা করার জন্য
এমওইউ স্বাক্ষরে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ইরাক বাংলাদেশ থেকে সবজি, আম, আলু নিতে চায়।
আমরা আলু রপ্তানি করতে পারবো।
পরে কৃষিমন্ত্রীর সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা দূতাবাসের এগ্রিকালচারাল অ্যাটাশে
মেগান ফ্রান্সিসের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের একটি প্রতিনিধিদল বৈঠক করে। এসময়
কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণে বাংলাদেশকে মার্কিন কৃষি বিভাগ কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা প্রদান
করবে বলে প্রতিনিধিদল জানায়। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে কৃষিপণ্য পরিবহণ ও কোল্ড
চেইনের জন্য রেফ্রিজারেটেড ভেহিকেল প্রদান করবে বলেও জানানো হয়।
এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে ও ভ্যালু অ্যাড
করতে বদ্ধপরিকর। আমরা সেই লক্ষ্যে নানান উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। পূর্বাচলে দুই একর জমিতে
বিশ্বমানের প্যাকিং হাউজ এবং অ্যাক্রেডিটেড ল্যাব স্থাপনের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে খাদ্য ও
কৃষি সংস্থার (এফএও) একজন পরামর্শক নিয়োগ করা হয়েছে। এই প্যাকিং হাউজ নির্মাণ ও
অ্যাক্রেডিটেড ল্যাব স্থাপনে মার্কিন কৃষি বিভাগ আমাদেরকে সহযোগিতা করতে পারে।
উল্লেখ্য, মার্কিন কৃষি বিভাগ ২৭ মিলিয়ন ডলারের ‘বাংলাদেশ ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন
প্রজেক্ট’ বাস্তবায়ন করছে। ২০২১-২৫ মেয়াদে চার বছরব্যাপী এ প্রকল্প মূলত বাংলাদেশের
কৃষিপণ্যের গুণগতমান ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে কাজ করবে।