শিবালয়, মানিকগঞ্জ ৩ কার্তিক (১৯ অক্টোবর) :
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে আগামী ছয় মাসের মধ্যে স্মার্ট কার্ড প্রবর্তন করা হবে।
এটি বাস্তবায়ন হলে খাদ্য সহায়তা বিতরণে আরো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে
বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
আজ মানিকগঞ্জের শিবালয়ে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ''দেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাসরত
দরিদ্র, অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং দুর্যোগপ্রবন এলাকার জনগোষ্ঠীর নিরাপদ খাদ্য
সংরক্ষণের জন্য হাউজহোল্ড সাইলো সরবরাহ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায়
উপকারভোগীদের মধ্যে হাউজহোল্ড সাইলো বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে
তিনি এসব কথা বলেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২ শত পেডি
সাইলো নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। আধুনিক এ সাইলোগুলো হবে ৫ হাজার মেট্রিক টন ধারণ
ক্ষমতার। কৃষকের ভেজা ধান সংগ্রহ করে এখানে প্রক্রিয়াকরণ করা হবে। কৃষকের
ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হবে।
সম্প্রতি একনেকে ৩০ টি সাইলো নির্মাণের অনুমতি পাওয়া গেছে উল্লেখ করে তিনি
বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে খাদ্যশস্য সংরক্ষণ সক্ষমতা ৩৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত
হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সফলভাবে করোনা
মোকাবিলা করা হয়েছে। দেশে খাদ্য সংকট হয়নি- কেউ না খেয়ে মারা যায়নি।
আসন্ন নির্বাচনের প্রতি ইঙ্গিত করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, যে দল নির্বাচনে
অংশগ্রহণ করবে না জনতার আদালতে তাদের বিচার হওয়া উচিৎ। গণতন্ত্র হত্যাকারীদের
নির্বাচন থেকে জনগনই বয়কট করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ
কখনও নির্বাচন থেকে পালিয়ে যায়নি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়নের সুফলভোগী সকলেই। এমন কোন সেক্টর
নাই যেখানে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ছৌঁয়া লাগেনি। অথচ বিএনপি শেখ হাসিনার উন্নয়ন

দেখতে পায়না। এসময় তিনি নেতা কর্মীদের শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও শান্তির শাশ্বত বাণী
ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানান।
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য এ এম নাঈমুর রহমান, মমতাজ বেগম। এছাড়াও
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ মুজিবর রহমান, অতিরিক্ত সচিব মো: খুরশিদ ইকবাল
রেজভী, পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান বক্তৃতা করেন।
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে
এ প্রকল্পের আওতায় দেশের আট বিভাগে ২৩ জেলার ৫৫টি উপজেলায় সর্বমোট ৩ লাখ
পারিবারিক সাইলো বিতরণ করা হবে। মানিকগঞ্জ জেলার তিনটি উপজেলায় মোট ১৩ হাজার
পিস পারিবারিক সাইলো পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে শিবালয় উপজেলায় ৫
হাজার পিস, দৌলতপুর উপজেলায় ৪ হাজার পিস এবং হরিরামপুর উপজেলায় ৪ হাজার পিস
পারিবারিক সাইলো বিতরণ করা হবে। দুর্যোগকালে প্রতিটি পারিবারিক সাইলাতে ৪০ কেজি
ধান অথবা ৫৬ কেজি চাল অথবা ৭০ লিটার পানি সংরক্ষণ করা যাবে।