ঢাকা, ২৫ আশ্বিন (১০ অক্টোবর) :
ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিভিন্ন ঘাতসহনশীল জাত ও
প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য গবেষক-বিজ্ঞানীদেরকে আরো কঠোর পরিশ্রম করার আহ্বান
জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা
নিশ্চিত করতে দেশে নানান চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গবেষক-
বিজ্ঞানীদেরকে নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। গবেষণায় বেশি সময়দান, নিজ কর্মস্থলে
অবস্থান ও মানসম্পন্ন গবেষণাকর্ম করতে হবে। ৯-৫টা সময়ে সীমাবদ্ধ না থেকে
গবেষণাকর্মে অধিক সময় দিতে হবে।
আজ গাজীপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) গবেষণা পর্যালোচনা ও
কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
উদ্ভাবিত জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তিকে দ্রুত কৃষকের কাছে পৌঁছে দেয়ার তাগিদ দেন
কৃষিমন্ত্রী। বলেন, উদ্ভাবন করে বসে থাকলে হবে না। দ্রুত কৃষকের নিকট, মাঠে
সম্প্রসারণ করতে হবে। কৃষকের হাতে উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তি যেতে অনেক ক্ষেত্রে ৮-
১০ বছর লেগে যাচ্ছে, এটা কোনমতেই কাম্য নয়। উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের এই গ্যাপ
কমাতে হবে।
এর আগে কৃষিমন্ত্রী নতুন স্থাপিত উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব ও মৃত্তিকা বিজ্ঞান ২ টি
আধুনিক ল্যাব এবং প্রযুক্তি প্রদর্শনী স্টল পরিদর্শন করেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, আমাদের খাদ্য ঘাটতি নেই। আলু, শাকসবজি ও ফলমূলসহ
বিভিন্ন ফসল ও খাদ্যে আমরা উদ্বৃত্ত। এ উদ্বৃত্ত ফসল সারা পৃথিবীতে আমরা রপ্তানি
করতে চাই। সেলক্ষ্যে আমাদের প্রস্তুতি প্রায় সমাপ্ত। গত ১ বছরে কৃষিপণ্যের রপ্তানি
অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া, এই নতুন ল্যাবগুলো থেকে সার্টিফিকেট দিলে সারা বিশ্বেই
তা গ্রহণযোগ্য হবে। ফলে, সামনের দিনগুলোতে রপ্তানি আরো বৃদ্ধি পাবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট-এ বর্তমানে ২১১টি ফসল নিয়ে
গবেষণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের শাসনামলে বারি ২০০৯-
২০২১ এই সময়ে ৩০৬ টি উন্নত জাত এবং ৩৬৩ টি প্রযুক্তিসহ মোট ৬৬৯টি উন্নত
প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো.
জাহিদ আহসান রাসেল এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম।
বারির মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা
কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো: বখতিয়ার, বিএআরসির সাবেক নির্বাহী
চেয়ারম্যান ড. জহুরুল করিম, বিশিষ্ট বিজ্ঞানী বারির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক (অব.) কাজী
এম বদরুদ্দোজা, বারির পরিচালক ড. মো. তারিকুল ইসলাম, পরিচালক ড. মো. কামরুল
হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।