যোবাযের আহমেদ : ঢাকা-১৮ আসনের কেটলি মার্কার প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. খসরু চৌধুরী সিআইপি বলেছেন, খিলক্ষেত রাজধানীর একটি গুরুত্বপূর্ণ থানা। এখানে কয়েক লাখ মানুষের বসবাস। সামান্য বৃষ্টিতে খিলক্ষেত এলাকাজুড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। জলাবদ্ধতায় এ এলাকার বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও দোকানপাট তলিয়ে যায়। একাকার হয় বৃষ্টির পানি ও ড্রেনের বর্জ্য। এখানকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক। আমি এমপি নির্বাচিত হলে খিলক্ষেতকে আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলবো। ৩০০ ফিটকে কেন্দ্র করে খিলক্ষেত হবে রাজধানীর সবচেয়ে আধুনিক এলাকা।

রবিবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর খিলক্ষেত থানার ডুমনির কাঠালদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এরপর তিনি ডুমনি, খিলক্ষেত বাজার, মৈঞ্জারটেক, নকুনী, নিকুঞ্জ এলাকায় প্রচারণা চালান।

মো. খসরু চৌধুরী বলেন, খিলক্ষেতের প্রতিটি শিশু মানসম্মত শিক্ষা পাবে। প্রতিটি মসজিদে শিশুদের মৌলিক ইসলামি শিক্ষা বিনামূল্যে প্রদান করা হবে। খিলক্ষেতের প্রতিটি ওয়ার্ডের উপযুক্ত স্থানে একটি কারিগরি ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে যেখানে যুবকরা কারিগরি প্রশিক্ষণ পাবে। খিলক্ষেতের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেধাবী কিন্তু দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পূর্ণ উপবৃত্তি প্রদান করা হবে। এখানের প্রতিটি বাড়িতে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। খিলক্ষেতে মাদক কারবারী, ভূমি দস্যু, সন্ত্রাসীদের জায়গা হবে না। এখানে রাজনৈতিক পরিচয়ে কেউ চাঁদাবাজি করতে পারবে না। অটোর স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি কোন চাঁদাবাজি চলবে না। ফুটপাত বিক্রি ও ভাড়া তোলায় জড়িতদের দমন করা হবে।

এসময় তার সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহাবুবুর রহমান হিরণ, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফসার উদ্দিন খান, ৪৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম ভূঁঞা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য রফিকুল ইসলাম, কাজী সালাউদ্দিন পিন্টু, আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম খান, মতিউর রহমান, অ্যাডভোকেট এনামুল হক, সবুজ মিয়াস্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।