রাজধানীর খিলগাঁও সরকারি স্টাফ কোয়ার্টারে ৯, ১০, ১১ নং ভবন
এলাকার পানির ট্যাংকটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। প্রতিষ্ঠার ৩৫ বছরেও
এখনো কোনো প্রকার সংস্কার কাজ হয়নি। ট্যাংকটির বিভিন্ন স্থানে দেখা
দিয়েছে ফাটল। ফাটলের পথ ধরে প্রতিদিন এ ট্যাংক থেকে ঝরে পড়ছে
হাজার হাজার লিটার পানি, যা সরকারের পানি সরবরাহের বড় ধরনের ক্ষতির
কারণ হয়ে ওঠেছে। যে কোনো সময় ট্যাংকটি ভেঙে পড়ে বড় ধরনের
দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন কলোনীতে বসবাসকারীরা।
অধিবাসীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভেতরের পানি আর বাইরের
পানি একাকার হয়ে ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে পানি। নিরুপায়
বাসিন্দারা নিরুপায় হয়েই বাধ্য হচ্ছেন ব্যবহারের অনুপযোগী এ পানি
ব্যবহার করতে। এতে নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ বিভিন্ন
বয়সের নারী-পুরুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৯, ১০ ও ১১ নং ভবনে মোট ৭২ জন এলোটি
রয়েছেন। পানিসহ অধিকাংশ নাগরিক সুবিধাবঞ্চিত ভবনে বসবাসকারী
লোকজন। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ভবনগুলোতে বসবাসের পরিবেশ
একেবারে নেই বল্লেই চলে। পুরনো বিল্ডিংগুলোতে স্পষ্টত রয়েছে যতেœর
অভাব। এখানের অধিকাংশ আবাসিক কক্ষের দেয়ালের পলেস্তরা খসে খসে
পড়ছে। বিভিন্ন স্থানে ফাটলও দেখা দিয়েছে বলে জানান অনেকেই। এদিকে,
কলোনির স্যানিটারি ও স্যুয়ারেজ লাইনেও সমস্যার অন্ত নেই। অপরিচ্ছন্ন
স্যুয়ারেজ লাইনের আশপাশ ঘিরে ময়লা আর ময়লা। এখানে চলাফেরা করাটাও
রীতিমতো বিরক্তিকর। স্যুয়ারেজ লাইনে জমা ময়লার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ
কলোনিতে বসবাসকারীরা।
প্রতিষ্ঠার ৩৫ বছরেও কেন একটি পানির ট্যাংকি পরিষ্কার বা
সংস্কার হলো না- বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তর শাহজাহানপুর গভ. স্টাফ
কোয়ার্টার্স সরকারি কর্মচারী সমাজ কেন্দ্রের সহ-সভাপতি মো. ইসহাক
জানান, বিষয়টি নিয়ে বিগত এক যুগেরও বেশি সময় তারা গণপূর্ত
অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টদের কাছে আবেদনের পর আবেদন করে যাচ্ছেন।
কিন্তু ট্যাংকসহ কলোনির মোটাদাগে চিহ্নিত সমস্যাগুলোর কোনো সমাধান
হচ্ছে না। তিনি আরো জানান, এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য লিখিত আকারে
গণপূর্ত অধিদপ্তরকে জানালেও তাতেও কোনো কাজ হয়নি। এখানে
বসবাসকারীরা সত্যিকারার্থেই মানবেতরই জীবনযাপন করছেন।