ঢাকা, ২২ কার্তিক (৭ নভেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ৮ নভেম্বর ‘গণপ্রকৌশল দিবস ২০২১’
উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘গণপ্রকৌশল দিবস ২০২১' ও ‘ইনস্টিটিউশন অভ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স, বাংলাদেশ
(আইডিইবি)’র ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আমি আইডিইবি’র সকল সদস্যকে জানাই
আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। এবারের গণপ্রকৌশল দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সমৃদ্ধ
অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে আধুনিক জ্ঞান ও কর্মশক্তিতে বলীয়ান শিক্ষা’ অত্যন্ত যথার্থ
হয়েছে বলে আমি মনে করি।
উন্নয়নের জন্য দক্ষ মানবসম্পদের বিকল্প নেই। বিষয়টি স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গভীরভাবে উপলব্ধি করেছিলেন। ১৯৭৩ সালে
ছাত্রলীগের সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘শুধু বি এ, এম এ পাস করে লাভ নেই। আমি চাই
কৃষি কলেজ, কৃষি স্কুল, ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল ও কলেজ, যাতে সত্যিকারের মানুষ পয়দা হয়।
বুনিয়াদি শিক্ষা নিলে কাজ করে খেয়ে বাঁচতে পারবে।’ বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপট ও ৪র্থ শিল্প
বিল্পবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বঙ্গবন্ধুর এই দর্শন শুধু গুরুত্বই বহন করে না, বরং এ
বক্তব্যের মাঝে তাঁর সুদূরপ্রসারী প্রাজ্ঞ দৃষ্টিভঙ্গিরও বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
সৃজনশীল মেধা বিকাশ ও উদ্ভাবনী শক্তির চর্চা ব্যতীত আমদানিনির্ভর প্রযুক্তি
দিয়ে একটি দেশ ও জাতি বেশি দূর এগুতে পারে না। সরকার প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক কারিগরি
ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা বিস্তারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। আইডিইবি’র সদস্য প্রকৌশলীদের
প্রযুক্তির অন্তর্নিহিত শক্তিকে প্রত্যক্ষ করে প্রযুক্তির গণমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করতে
উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মূল ভিত্তি ছিল জাতি-ধর্ম-বর্ণ
নির্বিশেষে মানবিক সহাবস্থান ও সম্প্রীতি। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে
মানবসম্পদ উন্নয়নের পাশাপাশি ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি নির্বিশেষে নাগরিকদের
সমমর্যাদাভিত্তিক অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠা খুবই জরুরি। আইডিইবি’র
প্রকৌশলীগণ জাতির পিতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধারণ করে দক্ষ মানবসম্পদ
হিসেবে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অবদান রাখার পাশাপাশি একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ
প্রতিষ্ঠায় নিজেদের নিয়োজিত রাখবে- এ প্রত্যাশা করি।
আমি আইডিইবি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও গণপ্রকৌশল দিবসের সকল কর্মসূচির
সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”