ঢাকা, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই) :
কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরের জন্য গবেষণা, উদ্ভাবন ও
জ্ঞানবিনিময়ের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশসমূহকে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান
জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক।
মন্ত্রী আজ সচিবালয়ে অফিস কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি ইটালির রোমে ৩ দিনব্যাপী
চলমান জাতিসংঘের ফুড সিস্টেম প্রি-সামিটের ‘খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরে বিজ্ঞানের
সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো’ শীর্ষক সেশনে বক্তব্য প্রদানকালে এ আহ্বান জানান।
আন্তর্জাতিক কৃষিবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের সম্মিলিত সংগঠন-সিজিআইএআর ও
আন্তর্জাতিক কৃষক সংগঠন যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার বিশেষ
গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। বিজ্ঞানের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে গবেষণা ও উদ্ভাবনে
পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দসহ সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করছে। ইতোমধ্যে দেশের গবেষণা
প্রতিষ্ঠানসমূহ ধান, গম, ভুট্টা, ফল ও শাকসবজির অনেকগুলো উন্নত জাত ও প্রযুক্তি
উদ্ভাবন করেছে।
ধানের জাত উদ্ভাবনের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা
ইনস্টিটিউট-ব্রি ১০০টিরও বেশি ধানের উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছে। যার মধ্যে ২৬টি জাত
বন্যা, খরা, লবণাক্ততাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতসহিষ্ণু। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি
গবেষণা ইনস্টিটিউট-বিনা ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট-বারিও জলবায়ু
পরিবর্তনের অভিঘাতসহিষ্ণু ধান ও অন্যান্য ফসলের বেশ কিছু জাত উদ্ভাবন
করেছে। এছাড়া, দেশের বিজ্ঞানীরা বিশ্বে প্রথম জিংকসমৃদ্ধ ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে।
ইরি, সিমিট, ওয়ার্ল্ডফিশ, ইফরি, সিআইপিসহ সিজিআইএআরের বিভিন্ন
প্রতিষ্ঠানের সাথে বাংলাদেশ গত ৫০ বছর ধরে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে ড.
রাজ্জাক আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা, চলমান কোভিডসহ
নানান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক
পর্যায়ে সম্মিলিত সহযোগিতা ও প্রচেষ্টা প্রয়োজন। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশসমূহকে
পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
জাতিসংঘের ফুড সিস্টেম সামিটে সিজিআইএআরের বিশেষ প্রতিনিধি কানায়ো
এনওয়ানজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ইথিওপিয়ার কৃষি প্রতিমন্ত্রী ফিকরু রিগাসা,
মেক্সিকোর কৃষিমন্ত্রী ভিক্টর ভিল্লালোবোস, সিজিআইএআরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক
ক্লদিয়া সাদোফ, আন্তর্জাতিক কৃষক সংগঠনের মহাসচিব অ্যারিয়ানা জিওলিওদোরি,
২০২১ সালের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ বিজয়ী শকুন্তলা থিলস্টেড প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের ‘ফুড সামিট ২০২১’ কে সামনে রেখে এ
প্রাক-সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৪৫ টির বেশি দেশ এতে অংশগ্রহণ করছে।