ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা ও মিসরীয় সীমান্তবর্তী রাফাহ শহরে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ভোরে ইসরায়েলি বাহিনী বিমান হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে ১ মিলিয়নেরও বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে, সেখানেই এমন হামলার ঘটনা ঘটেছে।

গাজার চিকিৎসক কর্মকর্তারা বলেছেন, বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং অ্যাপার্টমেন্টে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানলে ১৪ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন।

অন্যদিকে মধ্য গাজার আল-নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি অংশে পৃথক বিমান হামলায় আরো ছয়জন প্রাণ হারান। উভয় ঘটনায় আহতের সংখ্যাও অনেক।
এদিকে গাজা শহর থেকে প্রায় ১৪ কিমি (৮.৬ মাইল) দক্ষিণে মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সেখানে বজ্রপাতের সঙ্গে বিস্ফোরণের মিশ্র শব্দ এবং বৃষ্টি ক্যাম্পে অবস্থানরত বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর দুর্দশা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

দেইর আল-বালাহ শহর থেকে পাঁচ সন্তানের বাবা শাবান আবদেল-রউফ বলেছেন, ‘আমরা বজ্রপাত এবং বোমা হামলার শব্দের মধ্যে আর পার্থক্য করতে পারছি না। আমরা বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতাম। আর বৃষ্টি হতে দেরি হলে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতাম। আজ আমরা প্রার্থনা করছি যেন বৃষ্টি না হয়।
এখানে বাস্তুচ্যুত মানুষগুলো যথেষ্ট দুর্দশার মধ্যে রয়েছে।’
গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থীশিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত প্রায় ৩১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে ৭২ হাজারেরও বেশি।