গাজার হাসপাতালগুলোতে জ্বালানি ফুরিয়ে আসছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। সেখানকার বিভিন্ন হাসপাতালে যে পরিমাণ জ্বালানি আছে তাতে আর মাত্র ২৪ ঘন্টার মতো সেবা দেওয়া যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গাজায় সর্বাত্মক অবরোধ আরোপের পর থেকে সেখানে জেনারেটরই ছিল একমাত্র ভরসা। কিন্তু জেনারেটর বন্ধ হয়ে গেলে হাজার হাজার রোগীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বলে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার কার্যালয় তাদের এক ওয়েবসাইটে সতর্ক করেছে।

সম্প্রতি জ্বালানি ও পানিসহ মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য বেশ কয়েকটি ত্রাণ সংস্থা গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়ার আহ্বান জানানোর পরই জাতিসংঘও এ বিষয়ে সতর্ক করলো।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) দিনের শুরুতেই গাজায় ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের কর্মরত ব্রিটিশ-ফিলিস্তিনি সার্জন গাসান আবু সিত্তা সতর্ক করেছিলেন যে, লোকজনকে সহায়তা দেওয়ার মতো তাদের কাছে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম নেই।

গত বুধবার (১১ অক্টোবর) জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে যায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন। এর ফলে অন্ধকারে ডুবে যায় হামাস-নিয়ন্ত্রিত এলাকাটি। সেদিন স্থানীয় সময় দুপুর ২টার দিকে বাসিন্দারা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হওয়ার চূড়ান্ত সতর্কবার্তা পান। এর এক ঘণ্টা পরেই অন্ধকার হয়ে যায় সব কিছু।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের হামলার পর গত রোববার থেকে গাজার ওপর ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ আরোপ করে ইসরায়েল। সে সময় দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োয়াভ গালান্ট ঘোষণা দেন, গাজাকে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন করার পাশপাশি অঞ্চলটিতে খাদ্য বা জ্বালানি কোনো কিছুই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

এদিকে, গাজার ওপর ইসরায়েলের এই সর্বাত্মক অবরোধকে যুদ্ধাপরাধ ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভল্কার তুর্ক মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, গাজা উপত্যকার মানবিক পরিস্থিতি এমনিতেই খারাপ ছিল। ফলে সর্বাত্মক অবরোধ আরোপে সেখানকার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।