ঢাকা, ২৭ পৌষ (১১ জানুয়ারি):
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে (পিপিপি) চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন এর
নিকট শপিংমলসহ হোটেল কাম গেস্টহাউজ নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং বেসরকারি
অংশীদার এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেডের মধ্যে রেলভবনে আজ এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে ফোকাল পার্সন মোঃ আহসান জাবির ও
অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) এবং এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেডের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার
মোঃ আনোয়ার হোসেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলপথমন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন প্রধান অতিথি হিসেবে
উপস্থিত থেকে বলেন, সরকারের বর্তমান নীতি অনুযায়ী উন্নয়ন কার্যক্রমের ৩০ শতাংশ পিপিপি
অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আমাদের ১২টি প্রকল্পের
মধ্যে ইতোমধ্যেই দুটির চুক্তি স্বাক্ষর হলো।
রেলওয়ের বর্তমান কার্যক্রম সম্পর্কে রেলপথমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী
রেলখাতের উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তিনি আলাদা মন্ত্রণালয় করে দিয়েছেন।
বর্তমানে রেলওয়ের উন্নয়নে বহুমুখী কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন
মিটারগেজ ও ব্রডগেজ লাইনকে একমুখী ব্যবস্থা করে সারা দেশকে ব্রডগেজ-এ রুপান্তর করার
উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সিঙ্গেল লাইনকে ডাবল লাইনে রূপান্তর করা হবে। বর্তমানে
আমাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, যমুনা নদীর উপর দ্বিতীয়
বঙ্গবন্ধু রেলসেতু নির্মাণ, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ
প্রকল্প। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইন পর্যায়ক্রমে ডুয়েলগেজে রূপান্তর করা হবে।
নূরুল ইসলাম বলেন, একটি দেশের উন্নয়নের স্বার্থে রেলওয়ের উন্নয়ন প্রয়োজন। যে
দেশ যত উন্নত, তার রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা তত উন্নত। উন্নত দেশের স্টেশনগুলোর পাশে
শপিংমল করা হয়। আমাদের দেশের রেল ব্যবস্থাকেও একইভাবে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেয়া
হয়েছে। আমাদের অনেক জমি আছে স্টেশনগুলোর পাশে। শপিংমল করে সেখান থেকে অর্জিত আয়
দিয়ে আমরা একসময় রেলওয়েকে স্বয়ংসম্পূর্ণ অবস্থা ও লাভজনক করতে পারবো বলে আমরা
বিশ্বাস করি।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন রোডসংলগ্ন জায়গায় ডিজাইন বিল্ড ফাইন্যান্স অপারেট
এন্ড ট্রানস্ফার পদ্ধতিতে প্রায় ১৫ তলাবিশিষ্ট একটি অত্যাধুনিক ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে
চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হলো । এখানে হোটেল, শপিংমল, অফিস, সিনেপ্লেক্স, কনভেনশন
সেন্টার, পারিবারিক বিনোদন কেন্দ্র এবং অ্যাপার্টমেন্ট থাকবে। এর সম্ভাব্য ব্যয় ৪৫ কোটি টাকা। নির্মাণকালসহ ৪০ বছর পরে স্থাপনাটি রেলওয়ের শতভাগ মালিকানায় পরিচালিত হবে।
প্রকল্পের সকল ব্যয় বেসরকারি অংশীদার বহন করবে। এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিপিপি
কর্তৃপক্ষের প্রধান নিবার্হী সুলতানা আফরোজ। বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ
মজুমদারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের
সচিব ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর।