চট্টগ্রাম, ১৩ ভাদ্র (২৮ আগস্ট) :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর
বাংলাদেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন। এর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য স্ক্যানার
বসানোর কার্যক্রম চলমান আছে। বন্দরের প্রত্যেক গেইটে আমদানি-রপ্তানির জন্য
স্ক্যানার বসানো হবে। চট্টগ্রাম বন্দরকে বিশ্বমানের ডিজিটাল করার জন্য
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যা যা করণীয় তা করা হবে। শুধু চট্টগ্রাম বন্দর
নয়, মোংলা বন্দরসহ স্থলবন্দরগুলোতেও স্ক্যানার বসানোর কাজ চলমান রয়েছে বলে
জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আজ চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল
পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের
চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো:
জাফর আলম, সদস্য (প্রকৌশল) ক্যাপ্টেন মো: মাহবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতের সাথে চুক্তি অনুসারে তাদের দেশের জাহাজ চট্টগ্রাম
বন্দর ব্যবহার করতে পারবে এবং সেখান থেকে সড়ক পথে ভারতের অন্যান্য রাজ্যে
মালামাল নিয়ে যেতে পারবে। এজন্য চট্টগ্রাম বন্দরে ভারতের জাহাজের ট্রায়াল রান
হয়েছে, আরো ট্রায়াল হবে। চট্টগ্রাম বন্দরকে আরো আপগ্রেড করে পতেঙ্গা
কন্টেইনার টার্মিনাল, ওভারফ্লো ইয়ার্ড নির্মিত হয়েছে। অধিক জাহাজ বাড়ার চাপ
সামাল দেয়ার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর প্রস্তুত আছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে
এসআরও হয়ে গেলে নিয়মিতভাবে ভারতীয় জাহাজ আসা শুরু করবে।
ভারতের জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করা এবং সেখান থেকে পণ্য ভারতের
অন্যান্য রাজ্যের পাঠানোর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মানবিক রাষ্ট্র। ৩০ লাখ
শহিদের রক্তের বিনিময়ে এ দেশ পেয়েছি। আমরা সবসময় মানবিক পদক্ষেপ নিয়েছি।
বঙ্গবন্ধুর বিদেশ নীতি হলো-সকলের সাথে বন্ধুত্ব। সে অনুযায়ী আমরা মানবিকতার হাত
বাড়িয়ে দিয়েছি।