চট্টগ্রাম, ১৮ পৌষ (২ জানুয়ারি):
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য টাগবোট
সংগ্রহ, সার্ভিস জেটি নির্মাণ, নিউমুরিং কন্টেইনার ওভারফ্লো ইয়ার্ড নির্মাণ এবং অন্যান্য
স্থাপনা সংযোজন বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য নতুন
মাইলফলক। দেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে আর এর চালিকাশক্তি ও অর্থনীতির গেইটওয়ে হচ্ছে
চট্টগ্রাম বন্দর।
প্রতিমন্ত্রী আজ চট্টগ্রামে বন্দরের সার্ভিস জেটি উদ্বোধন এবং নবসংগৃহিত টাগবোটের
উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন; প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরের
অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডের চেয়ে গতিশীলতা বেশ বৃদ্ধি
পেয়েছে। এসব সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কারণে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের ফলে বিদেশিরা দেশে বিনিয়োগের
আগ্রহ দেখাচ্ছে। দেশের ও বন্দরের স্বার্থরক্ষা করে কাজ করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,
বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মিত হয়েছে। বে-টার্মিনাল
এবং মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্রায় ১৪ বছর পর চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন একটি সার্ভিস জেটি চালু করা হলো।
কর্ণফুলী নদীর তীরে নগরীর আগ্রাবাদ বারিক বিল্ডিং এলাকায় ১ নম্বর জেটির উজানে এ জেটি
নির্মাণ করা হয়েছে। সার্ভিস জেটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৮৩ কোটি টাকা। জেটিতে ২২০
মিটার দৈর্ঘ্য ও ২০ মিটার প্রস্থের ৫ মিটার ড্রাফটের (গভীরতা) ১০০ মিটার লম্বা দুটি জাহাজ
একসঙ্গে ভিড়তে পারবে।
নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য খালাসেও এ জেটি ব্যবহার করা
যাবে। নতুন সার্ভিস জেটি চালু হওয়ায় বন্দরের মালিকানাধীন বিভিন্ন জাহাজের সুরক্ষা ও
বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমে গতি আসবে। বন্দরের উদ্ধারকারী জাহাজ, টাগবোট, জরিপ
জাহাজ, আউটার থেকে বিদেশি জাহাজগুলোকে জেটিতে আনার দায়িত্বে থাকা পাইলটদের বোট,
ফায়ার ফাইটিং বোট, পানি সরবরাহকারী জাহাজসহ প্রয়োজনীয় সকল জাহাজ সার্ভিস জেটি
ব্যবহার করবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল
মোহাম্মদ শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী সার্ভিস জেটিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের জন্য নবসংগৃহিত টাগবোট
উদ্বোধন করেন। এছাড়া তিনি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নবনির্মিত নিউমুরিং
কন্টেইনার ওভারফ্লো ইয়ার্ড, নবনির্মিত সুইমিংপুল কমপ্লেক্স, বাস্কেটবল গ্রাউন্ড এবং
টেনিস কোর্ট এর উদ্বোধন করেন।