যশোর প্রতিনিধি: নুরুজ্জামান:
কেরানীগঞ্জের ২০২০ সালের চাঞ্চল্যকর যশোরের চৌগাছার আসলাম হত্যা মামলার মূল আসামী স্ত্রী উম্মে হাবিবা র্যাব-৬ কর্তৃক গ্রেফতার।
র্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
গত ০৫ জুলাই ২০২০ তারিখ ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন পোস্তগোলা ব্রীজের নিকটে বুড়িগঙ্গা নদী হতে বস্তাবন্দি অবস্থায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে হাসনাবাদ নৌ পুলিশ ফাঁড়ির একটি টহল দল। উদ্ধারকৃত মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির পরিচয় সনাক্তের জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে পুলিশ। তাৎক্ষনিক ভিকটিমের পরিচয় ও আত্নীয়-স্বজন না পাওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে ভিকটিমের নাম ও পরিচয় নিশ্চিত হয়। ভিকটিম যশোর জেলার চৌগাছা থানাধীন মৃত নান্নু মিয়ার ছেলে মোঃ আছলাম উদ্দিন বলে জানা যায়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিভিন্ন তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার ও গোয়েন্দা তদন্তের ভিত্তিতে জানতে পারে ভিকটিমের স্ত্রী উম্মে হাবিবা কণা ও তার ২নং স্বামী মোঃ ডালিম পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে ভিকটিমকে হত্যা করতঃ বস্তাবন্দি করে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেয়। আসামী উম্মে হাবিবা কণা একাধিক বিয়ের মাধ্যমে স্বামীদের নিকট হতে কৌশলে অর্থ আত্মসাৎ করতো। অর্থ আত্নসাৎ ও পারিবারিক বিরোধের জের ধরে আসামীদ্বয় এই হত্যাকান্ড ঘটায় এবং আলামত গোপন করার নিমিত্তে মৃতদেহ বস্তায় ঢুকিয়ে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেয়। পলাতক আসামী উম্মে হাবিবা কণা যশোর জেলার অভয়নগর থানাধীন নওয়াপাড়া এলাকায় আত্মগোপনে আছে মর্মে র্যাব তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখ র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে যশোর জেলার অভয়নগর থানাধীন নওয়াপাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে দীর্ঘ প্রায় ০৩ বছর যাবত পলাতক ক্লুলেস আসলাম হত্যা মামলার আসামী স্ত্রী উম্মে হাবিবা কণা (৩৪), সাং-কবুতরপাড়া, থানা-দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, জেলা-ঢাকাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় ভিকটিম তার ৩য় স্বামী ছিল এবং তাদের মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিরোধ থাকায় এই হত্যাকান্ড ঘটায়।
আটককৃত আসামীকে উক্ত মামলা মূলে ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।