গত দুই মাসে সিটি গ্রুপ এক লাখ ৬১ হাজার টন, মেঘনা গ্রুপ এক লাখ ৫৬ হাজার টন, এস আলম গ্রুপ এক লাখ ১২ হাজার টন, আবদুল মোনেম গ্রুপ ২১ হাজার ৫০০ টন এবং দেশবন্ধু গ্রুপ আমদানি করেছে ২০ হাজার ৫৯৫ টন চিনি। বাকি দুই হাজার ৯০৫ টন চিনি আমদানি করেছে ছোট কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। চিনি পরিশোধন করে বাজারে সরবরাহের শীর্ষেও রয়েছে এই পাঁচটি গ্রুপ।
খাতুনগঞ্জের এস এস ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আকমল হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এস আলমের চিনি কারখানায় আগুন লাগার আগে কেজিতে বেড়েছিল এক টাকা। অন্যান্য কম্পানির চিনি চট্টগ্রামে না আসায় আগুন লাগার পর থেকে খাতুনগঞ্জে চিনির সংকট দেখা দিয়েছে। এস আলমের চিনির সরবরাহ শুরু হলে দাম কমতে সময় লাগবে না।’
চিনির আড়তদার আবদুর রহিম বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে আমরা চিনির ক্রেতা পাইনি। মার্চের শুরুতে ক্রেতারা সংকট হবে ভেবে অতিরিক্ত চিনি কিনেছেন। এ ছাড়া এস আলমের গুদামে আগুন লাগায় চিনির সংকট তৈরি হয়েছে।’
ক্যাবের সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দেশে পর্যাপ্ত চিনি রয়েছে, সেটা বেশির ভাগ ব্যবসায়ী ও সরকার থেকেও নিশ্চিত করা হয়েছে। অতএব রোজা শুরুর আগে ব্যবসায়ীরাই কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। কেন দাম বাড়ানো হচ্ছে সেটার কোনো জবাবদিহিও নেই। তাই ব্যবসায়ীদের অজুহাতগুলো খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’