চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে আগামী দিনের শিল্পে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ আসবে। সে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে এবং আগামী দিনে শিল্পের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে আমাদের শিল্পের সক্ষমতা বাড়ানোর প্রতি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব জাগো নিউজকে এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বিশেষ প্রতিনিধি ইব্রাহীম হুসাইন অভি।
শিল্পের একজন নেতা হিসেবে আপনার কর্মপরিকল্পনা কী?
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে আগামী দিনের শিল্পে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ আসবে। সে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও আগামী দিনে শিল্পের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষমতা বাড়ানোর প্রতি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।
শিল্পের সক্ষমতা তৈরি বলতে শুধু অবকাঠামো নয়, শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা, দক্ষতা, সরবরাহ ব্যবস্থার দক্ষতা (সাপ্লাই চেইন এর এফিসিয়েন্সি) ম্যানেজমেন্ট ক্যাপাসিটি বাড়ানো বোঝায়। সক্ষমতা বলতে শুধু অবকাঠামো উন্নয়ন বোঝায় না। সক্ষমতা বলতে আমরা শুধু শ্রমিকের কর্মদক্ষতা নয়, মালিকদের দক্ষতার উন্নয়নকেও বুঝি। এখানে দক্ষতা বলতে মানুষের দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি মেশিনের উত্তম ব্যবহার, স্কিল ম্যাট্রিক্স আপগ্রেডেশন ও স্কিলের ট্রান্সফরমেশন বোঝানো হয়েছে।
বাংলাদেশ এখন নিরাপদ কর্মস্থলের জন্য একটি উদাহরণ। গত কয়েক বছরের শিল্পের মালিকরা নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করতে ক্রেতা জোট ও সরকারের সহায়তায় প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। ফলে শিল্প আজ নিরাপদ।
এমনকি মালিককেও দক্ষতা উন্নয়নের অধীনে আনতে হবে। মালিকদের অনেক কিছু বুঝতে হবে। আগেরকার দিনের মতো শুধু সিএম (কাটিং অ্যান্ড মেকিং) নিয়ে কাজ করলে হবে না, কারণ এর মাধ্যমে যে মার্জিন থাকবে সেটা দিয়ে বর্তমান সময়ে টিকে থাকা কঠিন হবে।
উন্নয়নশীল দেশের ক্লাবে অংশগ্রহণের ফলে বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত সুবিধা হারাবে। শুল্কমুক্ত সুবিধা হারানোর প্রভাবমুক্ত থাকতে করণীয় কী?
উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরে যদি আমরা জিএসপি প্লাস পাই তাহলে বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবো এবং সক্ষমতা ধরে রাখতে পারবো। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তীসময়ে ভালো করার জন্য আমাদের অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করতে হবে, যাতে আমরা আমদানিনির্ভরতা কমাতে পারি।
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিল্পের সক্ষমতা বাড়ানো আবশ্যক
ম্যান মেড ফাইবারে আমরা অতিমাত্রায় আমদানিনির্ভর। আমরা যদি এখানে ভালো করতে চাই তাহলে নতুন বিনিয়োগে ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ শিল্পের কাঁচামাল যেন দেশে উৎপাদন করা সম্ভব হয়। যেহেতু বড় বিনিয়োগ দরকার এবং একা দেশীয় উদ্যোক্তাদের পক্ষে এ ধরনের শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব নয়, সরকারকে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা অফার করতে হবে। একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য যাতে আমাদের এখানে একটা ইন্ডাস্ট্রি দাঁড়ায়।
‘পোশাক শিল্পে ৮০-৯০ শতাংশ শ্রমিক তাদের অধিকার ভোগ করছেন’
রপ্তানিমুখী পোশাকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার
যে সব দেশ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে এবং এ ধরনের পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভালো করেছে তাদের মাধ্যমে আমাদের এখানে টেকনোলজি ট্রান্সফার করতে হবে। অবকাঠামোর ক্ষেত্রে আমরা যদি আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে পারি এবং বিদেশি যারা আমাদের বিভিন্ন ধরনের টেকনোলজির সাপ্লাই দিচ্ছেন তাদের মাধ্যমে আমাদের দক্ষ করতে পারি তাহলে আমরা এখানে ভালো করতে পারবো।
নতুন সবশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সরকারকে আর্থিক ও নীতিসহায়তা দিতে হবে। আমরা যদি আমরা আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়ার দিকে তাকাই দেখতে পাবো সেখানে তারা কীভাবে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সক্ষমতা বাড়িয়েছে। তারা নতুন নতুন পণ্য তৈরির প্রতি ঝুঁকছে।
প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে আপনারা কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?
প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে ও সবশেষ প্রযুক্তি শিল্পে যুক্ত করতে আমরা পণ্য, পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, শ্রমিকের দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করছি। ফলে আমরা উৎপাদনের সঠিক তথ্য এবং তা বিশ্লেষণ করে যথাযথভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।
এই মুহূর্তে আমাদের প্রতিযোগী অনেক দেশের তৈরি পোশাক থেকে রপ্তানি আয় নেতিবাচক ধারায়। আমরা ইতিবাচক ধারায় আছি। কারণ আমরা চায়না, মিয়ানমার ও অন্য প্রতিযোগী দেশ থেকে সরে আসা অর্ডার পাচ্ছি। ক্রেতারা এখান থেকে তৈরি পোশাক কেনায় আমাদের অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
আমরা শিল্পের উৎপাদন প্রক্রিয়ায় নানা ধরনের প্রযুক্তির সংযুক্ত করেছি, যা আমাদের রিয়েল টাইম ডাটা দেয়। ফলে যে কোনো ধরনের ত্রুটি ধরা পড়লে সহসা পদক্ষেপ নিতে পারি।
গত এক দশকে কর্মপরিবেশ নিরাপদ করার ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন এসেছে। শিল্প এখন নিরাপদ। প্রশ্ন উঠেছে যথাযথ তদারকি নিয়ে। আপনারা কী করবেন?
বাংলাদেশ এখন নিরাপদ কর্মস্থলের জন্য একটি উদাহরণ। গত কয়েক বছরের শিল্পের মালিকরা নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করতে ক্রেতা জোট ও সরকারের সহায়তায় প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। ফলে শিল্প আজ নিরাপদ। এই নিরাপত্তার যে উন্নতি হয়েছে তা ধরে রাখতে এবং তদারকি করতে বর্তমানে আরএসসি (আরএমজি সাসটেইনেবলিটি কাউন্সিল) এবং কলকারখানা অধিদপ্তর কাজ করছে।
কর্মপরিবেশ নিরাপদ রাখা এবং যে উন্নতি হয়েছে তা পর্যবেক্ষণ করার জন্য কলকারখানা অধিদপ্তর তার সক্ষমতা বাড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার অ্যান্ড এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনও (বিজিএমইএ) তাদের ক্যাপাসিটি বাড়িয়েছে। একই সঙ্গে প্রত্যেকটা ফ্যাক্টরি তার নিজস্ব সক্ষমতা বাড়িয়েছে, যাতে যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা বা অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারে।
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিল্পের সক্ষমতা বাড়ানো আবশ্যক
অন্যদিকে ক্রেতারা তাদের সোশ্যাল অডিটের সময় ফায়ার বিল্ডিং এবং অন্য কমপ্লায়েন্সগুলো যথাযথভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। সুতরাং, কোনো মালিকের কারখানা মনিটরিংয়ের বাইরে থাকার সুযোগ নেই।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশে ২১৫টি সার্টিফায়েড গ্রিন ফ্যাক্টরি রয়েছে। আরও ৩৫০টি অনুমোদনের অপেক্ষায়। এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।
এই মুহূর্তে আমাদের প্রতিযোগী অনেক দেশের তৈরি পোশাক থেকে রপ্তানি আয় নেতিবাচক ধারায়। আমরা ইতিবাচক ধারায় আছি। কারণ আমরা চায়না, মিয়ানমার ও অন্য প্রতিযোগী দেশ থেকে সরে আসা অর্ডার পাচ্ছি। ক্রেতারা এখান থেকে তৈরি পোশাক কেনায় আমাদের অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
পোশাকের কার্যাদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রিন ফ্যাক্টরিগুলো ক্রেতাদের কাছে অগ্রাধিকার পাচ্ছে। যদিও তারা বেশি দাম দেওয়ার ক্ষেত্রে বিবেচনা করছে না। কিন্তু তারা অর্ডার দেওয়ার ক্ষেত্রে নন-গ্রিন ফ্যাক্টরির তুলনায় গ্রিন ফ্যাক্টরি বেছে নিচ্ছেন। ফলে আমরা বেশি কাজ পাচ্ছি এবং এক্সপোর্টের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ধারা ধরে রাখতে পারছি। এটা আমাদের জন্য একটা দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই ব্যবসা- বাণিজ্যের পথ তৈরি করছে।
বিনিয়োগ বাড়াতে ঋণপ্রবাহ ইতিবাচক ধারায় রাখতে হবে
অর্থনীতির রক্ষাকবচ কৃষি উন্নয়নে বরাদ্দ বাড়াতে হবে
গ্রিন ট্রান্সফরমেশন আসলে একটা দায়িত্ব। আমদের খেয়াল রাখা উচিত আমি যে ব্যবসা করি সেটা যেন পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করে। বরং, সমাজের প্রতি একটি ইতিবাচক প্রভাব রাখে। আমরা সমাজে ব্যবসার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অবদান রাখি, যেমন স্কুল প্রতিষ্ঠা, হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা। এ ধরনের সেবামূলক পদক্ষেপ সমাজে এক ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এতে ওখানকার বসবাসকারী মানুষ ফ্যাক্টরির প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে এবং এর ক্ষতি চায় না। ফলে একটি সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নে বিজিএমইএর পরিকল্পনা কী?
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দেশের অর্থনীতির প্রাণ। এদের যথাযথভাবে গড়ে তুলতে না পারলে আগামী দিনে বড় শিল্প তৈরি হবে না। আমরা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কমপ্লায়েন্স এবং প্রযুক্তিনির্ভর হিসেবে গড়ে তুলতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। বিজিএমইএ ফিউচার সেন্টার স্থাপন করেছে। যেখানে এক্সিবিশন হল রয়েছে, রয়েছে উদ্যোক্তাদের জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা। বিভিন্ন ধরনের স্টেকহোল্ডারকে একত্রে আলোচনার মাধ্যমে প্রযুক্তির ব্যবহার এবং কোথায় প্রযুক্তি পাওয়া যায় সে সব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আমাদের যে সব টেকনোলজি পার্টনার রয়েছে তাদের কাছ থেকে কীভাবে সাপোর্ট নেওয়া যায় সে বিষয়ে আমরা সহায়তা করবো।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য অনেক টাকা ব্যয় করে একটি সফটওয়্যার কেনা কিংবা বড় ধরনের মেশিন স্থাপন করা কঠিন। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একটা সফটওয়্যার কিংবা বড় ধরনের মেশিন, ডিজাইন সেন্টার অথবা প্রযুক্তি কয়েকজন মিলে কীভাবে ব্যবহার করতে পারে তার একটি মডিউল তৈরি করা। এবং তা এমন জায়গায় স্থাপন করা যাতে কয়েকটা ফ্যাক্টরি মিলে একই জায়গায় কাজ করতে পারে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দেশের অর্থনীতির প্রাণ। এদের যথাযথভাবে গড়ে তুলতে না পারলে আগামী দিনে বড় শিল্প তৈরি হবে না।
এই পদ্ধতিটি হবে একটি রেন্ট আউট মডেল। যেখানে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপ করা হবে। বড় বিনিয়োগ করার দরকার হবে না। একজন ক্ষুদ্র কিংবা মাঝারি উদ্যোক্তা শুধু সাবস্ক্রাইব করে সেবা নেবে। এভাবে মিড লেভেল ফ্যাক্টরিকে সহায়তা করা সম্ভব। সবাই মিলে একটা ইকোসিস্টেম ডেভেলপ করে একত্রে কাজ করলে সবাইকে কমপ্লায়েন্স এবং প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে আগামীর যে চ্যালেঞ্জ তা মোকাবিলা করতে পারবে।
আপনি শিল্পের জন্য কী ধরনের চ্যালেঞ্জ দেখছেন?
বর্তমানের শিল্পে দুই ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে- তাৎক্ষণিক এবং আগামীর। অপারেশনাল দিক থেকে তাৎক্ষণিক চ্যালেঞ্জ হলো আরএসসিকে অ্যাকাউন্টেবল করা; যাতে তারা আমাদের কাছে জবাবদিহি হয় এবং নিজেদের মতো কাজ করার পরিবর্তে আমাদের সঙ্গে মিলে শিল্পের প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করে।
যেমন কাস্টমার অর্ডার দিতে চাচ্ছে কিন্তু আরএসসি কাজের অনুমতি দিচ্ছে না তারা অডিট করতে এবং ক্লিয়ারেন্স দিতে দেরি করছে। সেক্ষেত্রে তাদের অ্যাকাউন্টেবল করা এবং গুরুত্ব বিবেচনায় আমাদের কাজ দ্রুত করার বিষয়ে তাদের দায়িত্বশীল করাটাই বর্তমান চ্যালেঞ্জ।
শিল্পের মালিকরা কমপ্লায়েন্সে ইস্যু রিভিউ করার জন্য আরএসসিকে তথ্য দেয়। কিন্তু অনেক সময় রিভিউ করতে অতিরিক্ত সময় নেয়; যাতে মালিকদের খুবই অসুবিধায় পড়তে হয় এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারা কর্মাদেশ হারায়।
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিল্পের সক্ষমতা বাড়ানো আবশ্যক
এই মুহূর্তে তারা একতরফাভাবে ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করছে। এতে মালিকদের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে এবং তাদের প্রবৃদ্ধি থেমে যাচ্ছে। আমাদের অ্যাপ্রোচ হবে উভয়পক্ষকে নিয়ে যথাযথভাবে কাজ করা যাতে শিল্পের কোনো ধরনের ক্ষতি না হয় এবং অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখা যায়।
দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবের কথা চিন্তা করলে আমাদের নজর দিতে হবে ফাইবার ডাইভারসিফিকেশনে। এক্ষেত্রে যে ধরনের ইনভেস্টমেন্ট, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং নীতি দরকার সেগুলো শিল্পের স্বার্থে দ্রুত বাস্তবায়ন করা। অংশীজনদের সঙ্গে কাজ করে দ্রুত একটি পরিবেশ তৈরি করা; যাতে নন-কটন পণ্য তৈরিতে ভালো গ্রোথ হয়। যদি ম্যান মেড ফাইবারের গ্রোথ করতে না পারি তাহলে আমরা বিশ্বে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবো না। কারণ তৈরি পোশাকের মাত্র ২৭ শতাংশ প্রোডাক্ট কটন। অন্যদিকে বাকি সব নন-কটন। সুতারং, আমাদের নন-কটন তৈরি পোশাক উৎপাদনের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। এতে একদিকে বেশি দাম পাওয়া যাবে অন্যদিকে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা সহজ হবে।
রপ্তানি আয় বাড়াতে এই মুহূর্তে কী করা উচিত?
গার্মেন্টস শিল্পের আয়ের সিংহভাগ আসে প্রধানত পাঁচটি পণ্য থেকে। এখানে আউটওয়্যার টেকনিক্যাল টেক্সটাইল এবং অন্য বেশি দামের পণ্যের উপস্থিতি একেবারেই কম। যদিও এ ধরনের পণ্যের চাহিদা অনেক, এখানে আমাদের অংশ খুবই কম।
ছোট, তবে ধীরে ধীরে বিনিয়োগ আসতে শুরু করছে। আমরা আশাবাদী ২০৩০ সালের মধ্যে ম্যান মেড ফাইবারসহ অন্য নন-কটন প্রোডাক্ট থেকে ৪৭ বিলিয়ন আয় করে গার্মেন্টস শিল্পের এক্সপোর্ট ১০০ বিলিয়নে উন্নীত করতে সক্ষম হবো। সেক্ষেত্রে আমাদের ফাইবার ডাইভারসিটিফিকেশন, প্রযুক্তি সংযুক্তকরণ, নতুন নতুন পণ্যের ডিজাইন করার প্রতি নজর দিতে হবে, প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি নতুন বাজার সম্প্রসারণে সরকারি ও শিল্পের মালিকদের কার্যকরী পদক্ষেপ জরুরি।