ভোলা প্রতিনিধি, ১৫ ডিসেম্বর
ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নে অন্যের জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মানের অভিযোগ ওঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি
মো. ইব্রাহীম ফরাজীর বিরুদ্ধে। ওই জমির মালিকরা ভবন নির্মানের বাঁধা দিলে তাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে রাতের আধারে ভবন নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
সে সরকারী দলের প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় স্থানীয় আব্দুল মালেক গংদের জমি ও বাড়ির রাস্তা জোরপূর্বক দখল করে বহুতল ভবন নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিষয়টি নিয়ে জমির মালিক আব্দুল মালেক গং আদালতের শরানাপন্ন হলে আদালত ১৪৪ ও ১৪৫ ধারা নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু ইব্রাহীম এগুলোর কিছুই মানছেন না।
জমির মালিক মো. হাশেম জমাদারের ছেলে মো. হাসান অভিযোগ করে বলেন, ১৯৬১ সালে সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চর ইলিশা মৌজার এক একর ৮০ শতাংশ জমি ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছেন তাঁর বাবা ও চাচারা। কিন্তু ভিএস জরিপে তাদের নামে ৫৩ শতাংশ জমি রেকর্ড হয়। এর মধ্যে ৯১ দাগে ৪৩ শতাংশ ও ৯২ দাগে ১০ শতাংশ। এর আগে তাঁরা অন্য এলাকায় বসবাস করলেও গত ৩০-৩১ বছর
আগে নদী ভাঙনের কারনে তাঁরা এ জমিতে বসবাস করে আসছেন। সম্প্রতি স্থানীয় নাসির আহাম্মেমের ছেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজি সাহাবুদ্দিন মাস্টারের কাছ থেকে ৯২ দাগের ১০ শতাংশ জমি ক্রয় করে তাদের ৯১ দাগের জমির মধ্যে এসে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে বহুতল ভবন নির্মান শুরু করেন। তারা ভবন নির্মানের বাঁধা দিলে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেন ইব্রাহীম ফরাজী।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের শরানাপন্ন হলে তিনিপ সঠিক কোনো সমাধান দিতে পারেননি। পরে বিষয়টি নিয়ে আদালতে শরানাপন্ন হলে আদালত জমির ওপর ১৪৪ ও ১৪৫ ধারায় নিষেধাজ্ঞা দেয়। তবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সেটিও মানছে না ইব্রাহীম।
হাসান আরো অভিযোগ করেন, ইব্রাহীম সরকার দলের প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় তার বিষয়ে কেউ হস্তেক্ষেপ করতে চায় না। তাই সে জোরপূর্বক তাদের জমি ও বাড়ির রাস্তা দখল করে বহুতল ভবন নির্মান করে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে ইব্রাহীম ফরাজীর চাচাতো ভাই মো. সাদ্দাম জানান, ইব্রাহীম চার বছর আগে সাহাবুদ্দিন মাস্টারের কাছ থেকে জমি ক্রয় করেন। এবং সেই জমিতেই সে ভবন নির্মান করছেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ মিথ্যা অভিযোগ এনে ভবন নির্মানের শুরুতে নির্মানসামগ্রী ভাঙচুর করায় ইব্রাহীমের ভাই থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাদেরকে আটক করেছে।
আর ইব্রাহীম ফরাজী বলেন, লিগেল টাকা দিয়ে জমি কিনে আমার জমিতে আমি থাকতেছি। এই জমি নিয়ে দিঘ্যদিন ধরে স্থানীয় ভাবে অনেক শালিশ বিচার হয়ইছে। কিন্তু আমার আমার প্রতিপক্ষ কোন কিছু মানতে নারাজ। এ বিষয়ে আমরা থানায় অভিযোগ করার পরে থানা থেকে স্থানীয় চেয়ারম্যান মাধ্যমে সমাধানের কথা বলে। তবে চেয়ারম্যান এর একাধিক চেষ্টার পরেও তারা শালিশ বসতে নারাজ। তারা শালিশে না বসায় চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমি আমার জমিতে কাজ শুরু করেছি।