এস এম মিলন স্টাফ রিপোর্টারঃ
ঢাকাস্থ নড়াইল জেলা সমিতির কার্যকরী কমিটির অভিষেক ও মিলনমেলা কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব ঢাকা সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জমকালো ও বর্ণিল আয়োজনে নড়াইল জেলা সমিতির অভিষেক মিলন মেলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নড়াইলের কৃতি সন্তান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, এসবিপি(বার),ওএসপি,এনডিইউ,পিএসসি,পিএইচডি,বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাজা মিয়া, সিনিয়র সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, সমিতির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খান ওয়াহিদুজ্জামান বাবলু ১৭ জুন ২০২৩ শনিবার,বিকাল ৪.৩০ মিনিটে। ঢাকাস্থ নড়াইল জেলা সমিতির কার্যকরী কমিটির সভাপতি লে কর্ণেল সৈয়দ হাসান ইকবাল অবঃ সভাপতিত্ব অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নড়াইল সমিতি ঢাকার সাধারণ সম্পাদক কাজী মইনুল ইসলাম পিপিএম।
এছাড়াও আমন্ত্রীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি সিআইডি শেখ নাজমুল আলম পিপিএম বার বিপিএম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান, ডিআইজি মোল্লা নজরুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি মো শহিদুল ইসলাম, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সরোয়ার হোসেন,সেচ্ছাসেবলীগ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ জালাল মুকুল,এডভোকেট (নোবেল) আবুল কালাম আজাদ, এডভোকেট ফরিদুজ্জাম ফরহাদ, সাবেক কমিশনার কেএম ওহিদুল আলম, মো খবির উদ্দিন, মুন্সী কামরুজ্জামান কাজল,লে কমান্ডার অবঃ এম আব্দুল্লাহ,মেজর অবঃ সৈয়দ হাসান জাহিদ, মানবিক সমাজকর্মী বিশিষ্ট সংগঠক সৈয়দ খায়রুল আলম, এসএম হায়াতুজ্জামান, সুজন রহমান, সমিতির সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান ননী,শেখ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সৈয়দা নাজমুচ্ছাময়া হুসেন, যুগ্ম সম্পাদক সরদার হিরোক রাজা, অর্থ সম্পাদক এড মো আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার মো আবদুল গফফার, কবি বাদসা মিয়া সিকদার,এফএম ফেরদৌস হাসান,প্রণব কুমার রায়,দপ্তর সম্পাদক এস কে কায়ছার মাহমুদ,সহ দপ্তর সম্পাদক এড ইমদাদুল হক,সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো হেমায়েত হোসেন হিমু,সমাজকল্যাণ সম্পাদক হাজী নুর মোহাম্মদ,প্রচার সম্পাদক প্রকৌশলী রাসেল আহম্মদ,শিক্ষা ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মো মোতালেব শেখ, সদস্য সৈয়দ আরোজ আলী,এড সৈয়দা শবনম মুস্তারী, শেখ কায়রুজ্জামান,সৈয়দ জাফরুল হাসান অপু,এসএম গেলজার আহমেদ,এসএম মোহসীন হেসেন,সৈয়দ মুনতাসীর হাফিজ, মুন্সী হাবিবুর রহমান, কেএম এনায়েত সজিব,মো নঈমুল ইসলাম, রওশনউজ্জামান কচি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে নতুন কমিটির সদস্য, আজীবন সদস্য ও সন্মানিত দাতা সদস্য সহ আমন্ত্রীত অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
স্মরণ কালের স্মরণীয় ইতিহাসের পাতায় এক অবিস্মরনীয় নাম নড়াইল জেলা সমিতি। হে চিত্রা তুমি তো প্রামান করে দিলে।তুমি কেন লিখে যাওনি? যেমন কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত -কপোতক্ষকে নদকে নিয়ে লিখে গেছেন!তাহলে তো তোমারও গর্বের ইতিহাসের পাতা থেকে কিছু না লিখলে নয়!হে চিত্রা তুমি তো নড়াইলের অহংকার ও গর্ব!!তুমি সারা বিশ্বকে চিনিয়ে দিলে নড়াইল আমার সন্তান।সেই সন্তানদের নাম আজও বিশ্ব খ্যাত হয়ে পৃথিবীর নাম করণে চিরস্মরণীয় আছে।যাদের নাম কারণে আজ নড়াইল বেশি পরিচিত। বিশ্ববরেণ্য চিত্র শিল্পী এস এম সুলতান,বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ,বাংলাদেশ ক্রীকেট টিমের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্ত্তোজা সহ আরো নাম করা প্রখ্যাত গুণীজন।
সুনিপুণ প্রদর্শনী, জমকালো আয়োজনে ও বর্ণিল সাজসজ্জার মধ্য দিয়ে ঢাকাস্থ নড়াইল জেলা সমিতির অভিষেক মিলন মেলা অনুষ্ঠানে ঢাকা কুর্মিটোলা গল্ফ ক্লাব,ঢাকা যেন এক টুকরো নড়াইলে রুপান্তরিত হয়ে যায়। ঢাকাস্থ নড়াইল জেলা সমিতির সভাপতি লে. কর্ণেল সৈয়দ হাসান ইকবাল (অব.) সকল সন্মানিত অতিথি ও কার্যকর কমিটির সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন এবং ফটোসেশানে অংশ নেন।
নড়াইল জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী মাইনুল ইসলাম,পিপিএম এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আবেগঘন চমৎকার বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্মানিত সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ,এসবিপি(বার), ওএসপি,এনডিইউ,পিএসসি, পিএইচডি। তিনি বর্ণিল আয়োজনে নড়াইলের স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন আমার জন্ম খুলনায় হলেও বাপ দাদার পৈতৃক বাড়ি নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের করফা গ্রামে,তবে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমি লোহাগড়ায় অবস্থান করেছিন,সে স্মৃতি এখনও মনে আছে এবং সারাজীবন স্মৃতি পটে থাকবে। এলাকার উন্নয়নে যতটুকু সম্ভব সাধ্যের মধ্যে থেকে করে যাব।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সিনিয়র সচিব খাজা মিয়া বলেন নড়াইলের উন্নয়নে আমি যদি কোন ভুমিকা রাখতে পারি তাহলে আমি নিজেই ধন্য হব, সব কাজের অগ্রগতি সফলতা অর্জনের চেষ্টা করবেন বলে জানান।অনুষ্ঠানে কার্য নির্বাহী কমিটি ও সদস্য বৃন্দ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে সমিতির আজীবন সদস্য নড়াইলের বিশিষ্ট মানবিক সমাজকর্মী পাচারের শিকার মানব উদ্ধার ও শিশু সুরক্ষা সংস্থার চেয়ারম্যান কবি সৈয়দ খায়রুল আলম উপস্থিত থেকে মাননীয় জেনারেল এসএম শফিউল্লাহ সেনাপ্রধানের নিকট দাবি করেন বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক লে অবঃ এম মতিউর রহমান এর নামে মধুমতী নদীতে নির্মিত রেলসেতুর নামকরণ বীর মুক্তিযোদ্ধা লে এম মতিউর রহমান এর নাম করার দাবি জানিয়েছেন। জবাবে সেনাপ্রধান বলেন সবাই একসাথে চেষ্টা করলে সম্ভব হবে বলে জানান।
তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দেশের প্রয়োজন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অতীতের মত গৌরবোজ্জ্বল ভুমিকা রাখতে পারবেন।তিনি চমৎকার ও বর্ণাঢ্য আয়োজনে সবাই কে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান।