ঢাকা, ২০ ফাল্গুন (৫ মার্চ):

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জলবায়ুর অভিঘাত
মোকাবিলায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে এবং গ্রিন ও ক্লিন এনার্জি দক্ষতা বৃদ্ধিতে নতুন
নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও আবিস্কারে তরুণদেরকেই নেতৃত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে
কী ধরনের প্রযুক্তি প্রয়োজন এবং কেমন প্রযুক্তি টেকসই হবে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই উদ্ভাবনের
ওপর জোর দিতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টার (বিওয়াইএলসি) আয়োজিত Career
opportunities in earth-friendly jobs শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি
সংযুক্ত থেকে একথা বলেন। তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে
গৃহীত হয়েছে বছরভিত্তিক পরিকল্পনা । নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্পদ মূল্যায়ন ও নবায়নযোগ্য
উৎস হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য রোডম্যাপ – ২০৩০ অনুসারে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
সৌরবিদ্যুতের জন্য খসড়া রোডম্যাপ-২০৪১ নিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সোলার হোম সিস্টেমের
মাধ্যমে ২ কোটির বেশি গ্রামীণ অফগ্রিডের জনগণ বিদ্যুতায়নের আওতায় এসেছে। বাংলাদেশের
প্রেক্ষাপটে অন্যান্য নাবায়নযোগ্য জ্বালানির মধ্যে সৌরবিদ্যুতের সম্ভাবনাই বেশি। কিন্তু জমি
বেশি লাগে বিধায় সৌরবিদ্যুতের জন্য উদ্ভাবনী সমাধান প্রয়োজন। যদিও আমরা ছাদে সৌর এবং
ভাসমান সৌর প্রযুক্তির দিকে এগুচ্ছি। ছাদ সৌরবিদ্যুৎকে জনপ্রিয় করার জন্য নেট মিটারিং
সিস্টেম প্রবর্তন করা হয়েছে। বায়ু বিদ্যুৎ নিয়ে আরও কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বায়ুর ম্যাপিং
নয়টি সাইটে করা হয়েছে এবং খুব শীঘ্রই অফশোর বায়ুর সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণা করা হবে।
নবায়ণযোগ্য উৎস হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ভাগ ২০৫০ সালের মধ্যে আমাদের উৎপাদনের
মিশ্রণের ৪০ শতাংশ করতে চাই। এজন্য বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা হালনাগাদ করা হচ্ছে।
তরুণদের নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ওপর জোর দিয়ে বলেন, আমাদের সব
পরিকল্পাগুলো আরো বেশি টেকসই হবে যখন আমাদের তরুণরা এই খাতে নতুন নতুন প্রযুক্তি
উদ্ভাবন করবে। সামনের দিনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অনেক তরুণের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি
হবে।

বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশীপ সেন্টার (বিওয়াইএলসি) এর প্রেসিডেন্ট এজাজ আহমেদের
সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচক হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের
রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রুপ পিটারসেন, এসবিকে ভেঞ্চার ক্যাপিটালেরর প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির
কবির এবং সোলস শেয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেবাস্টিয়ান গোর।