ঢাকা, ১৪ অগ্রহায়ণ (২৯ নভেম্বর) :

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ৩০ নভেম্বর ‘জাতীয় আয়কর দিবস-২০২১’
উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে ৩০ নভেম্বর জাতীয় আয়কর দিবস পালিত হচ্ছে
জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি সকল সম্মানিত করদাতা এবং কর বিভাগের সাথে
সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। এ বছর জাতীয় আয়কর দিবসের
প্রতিপাদ্য ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, সবাই মিলে দেব কর’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে
করি।

আয়কর কেবল রাজস্ব আহরণের প্রধান খাত নয়, এটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার একটি অন্যতম মাধ্যম। প্রত্যক্ষ কর বা আয়করকে পৃথিবীর সকল
উন্নত রাষ্ট্রের প্রধান কর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আমরা রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে
সফলতার পথ ধরে রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সুখী-সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ
গড়ার পথে অগ্রসর হচ্ছি। রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বৃদ্ধির
বিকল্প নেই। আয়কর সম্পর্কে জনগণের মধ্যে পর্যাপ্ত সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারলে
একদিকে যেমন কর বিষয়ক ভীতি দূর হয়, তেমনি সমাজে কর পরিপালনের সংস্কৃতিও বিকশিত
হয়। আয়কর সম্পর্কে ভীতি ও অসচেতনতা দূর করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আয়কর বিভাগ
বিগত বছরসমূহে অনেক উদ্ভাবনীমূলক ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এসবের মধ্যে
রয়েছে জাতীয় আয়কর দিবস উদযাপন, আয়কর প্রদানকারীগণকে ট্যাক্স কার্ড প্রদান,
পুরস্কার ও স্বীকৃতি প্রদান ইত্যাদি। ইতোমধ্যে আয়কর ব্যবস্থাপনায় তথ্যপ্রযুক্তির
ব্যবহারসহ বেশ কিছু সংস্কার সাধিত হয়েছে। অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল, ই-টিডিএস,
এ চালান এবং নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীর সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশন
সিস্টেম (ডিভিএস) চালু করা হয়েছে। এসব ইতিবাচক সংস্কার ও কার্যক্রমের ফলে আয়কর
ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী পরিবর্তন সূচিত হয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নভেম্বর মাসব্যাপী সারা বাংলাদেশে সকল কর অফিসসমূহে
করসেবা প্রদান করেছে। কোভিড মহামারির কারণে করমেলা অনুষ্ঠিত না হলেও সম্মানিত
করদাতাগণকে মাসব্যাপী করসেবা প্রদানের উদ্যোগ একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ।
করদাতাদের কর প্রদানে উৎসাহিত করার অংশ হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবার ১ শত
৪১ জন দীর্ঘমেয়াদি করদাতাসহ সারাদেশে ৬ শত ৬৬ জন সর্বোচ্চ করদাতাকে সম্মাননা ও
ট্যাক্স কার্ড প্রদান করেছে। আমি আশা করি, এর মাধ্যমে অন্যান্য করদাতাগণও আয়কর

প্রদানে উৎসাহিত হবেন। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আমি সম্মানিত
করদাতাবৃন্দকে সময়মতো আয়কর প্রদানের আহ্বান জানাচ্ছি।

আমি ‘জাতীয় আয়কর দিবস-২০২১’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কার্যক্রমের সফলতা
কামনা করছি।

জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”