ঢাকা, ১৯ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ৫ ডিসেম্বর ‘জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা-২০২১’
উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“বাংলাদেশ মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প
ফাউন্ডেশন (S.M.E FOUNDATION) প্রতিবছরের মতো এবারও ‘৯ম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা
২০২১’ আয়োজন করেছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি মেলার
সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই।

এসএমই খাত শ্রমঘন শিল্পখাত। স্বল্পপুঁজি বিনিয়োগ করে এ খাতে বিপুল পরিমাণ
কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়, যা সুষম সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ
অবদান রাখতে পারে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের
বিকাশ, টেকসই শিল্পায়ন এবং উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ
খাতের গুরুত্ব বিবেচনা করে এসএমই নীতিমালা ২০১৯ প্রণয়ন করা হয়েছে। জাতীয় শিল্পনীতি
ও এসএমই নীতিমালার সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের গ্রামে গঞ্জে বা তৃণমুল পর্যায়
শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে ও বিদ্যমান এসএমই ক্লাস্টারসমূহ আরো গতিময় হবে। রূপকল্প
২০২১, এসডিজি ২০৩০ এবং রূপকল্প ২০৪১ অর্জনে এসএমই খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে
বলে আমি বিশ্বাস করি।

এসএমই পণ্যের বাজারজাতকরণে এসএমই পণ্য মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই
মেলা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের
তৈরি দেশীয় পণ্যের পরিচিতি ও চাহিদা বাড়াবে। নতুন শিল্প স্থাপন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং
সামগ্রিক অর্থনীতিতে এ মেলা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এসএমই খাতে পুরুষের পাশাপাশি নারী

উদ্যোক্তাদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অত্যন্ত প্রশংসনীয়
অবদান রাখছে।

করোনা অতিমারিতে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের এসএমই উদ্যোক্তারাও
বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এজন্য বর্তমান সরকার এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য
আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে এবং বাস্তবায়ন করে আসছে। তবে করোনায়
ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়াতে এবং অর্থনীতির চাকা সচল
রাখতে আসুন আমরা বেশি বেশি দেশি পণ্য ক্রয় করি এবং ব্যবহার করি।
সমৃদ্ধ ও টেকসই অর্থনীতির ভিত গড়তে হলে দেশে শ্রমঘন ও স্বল্পপুঁজির এসএমই
উদ্যোক্তা তৈরি করা প্রয়োজন। ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারসহ এসএমই উদ্যোক্তাদের এগিয়ে
আসার উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর। দেশের তরুণ-যুবসমাজকে দক্ষ
জনশক্তিতে রূপান্তর করা ও তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধিকরণে এসএমই খাত ও
জাতীয় এসএমই মেলা অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। এভাবেই গড়ে উঠবে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ
বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ,
ইনশাহআল্লাহ।

আমি ‘জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা-২০২১’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”