ঢাকা, ২৪ শ্রাবণ (৮ আগস্ট) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ৯ আগস্ট ‘জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস-২০২১’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে এবং জ্বালানি ব্যবহারে জনগণকে সাশ্রয়ী ও সচেতন করে তুলতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ কর্তৃক ‘জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস-২০২১’ উদ্যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
জ্বালানি ও বিদ্যুৎ অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সূচকের ঊর্ধ্বগতি নিশ্চিত করতে হলে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানির যোগান একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত। বিষয়টি অনুধাবন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট বিদেশি তেল কোম্পানি শেল অয়েল হতে ৫টি গ্যাসক্ষেত্র ক্রয় করে রাষ্ট্রীয় মালিকানা প্রতিষ্ঠা করেন এবং দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ভিত্তির সূচনা করেন।
বাংলাদেশের শিল্প-কারখানার অন্যতম প্রধান জ্বালানি প্রাকৃতিক গ্যাস। দেশের অব্যাহত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সাথে সরবরাহের সমন্বয় থাকা আবশ্যক। এর প্রেক্ষিতে সরকার দেশের স্থলভাগে ও সমুদ্রসীমায় তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান, উত্তোলন, সঞ্চালন ও বিতরণের নানাবিধ কর্ম-পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। একইসঙ্গে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (BPC) বিভিন্ন উৎস হতে জ্বালানি তেল আমদানি ও প্রক্রিয়াকরণ করে দেশের জ্বালানি চাহিদাপূরণ ও নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ অব্যাহত রেখে জ্বালানি নিরাপত্তা বিধানে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি সৌরশক্তিসহ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে সরকারের প্রচেষ্টা আন্তর্জাতিক অঙ্গণে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। প্রাকৃতিক গ্যাস জ্বালানির অন্যতম উৎস, তবে তা অফুরন্ত নয়। তাই অতি মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ, প্রাকৃতিক গ্যাসের সাশ্রয়ী ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা খুবই প্রয়োজন। দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে অভ্যন্তরীন উৎস থেকে জীবাশ্ম জ্বালানির উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধিতে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান জোরদার প্রচেষ্টা চালাবে- এ প্রত্যাশা করছি।
‘জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস-২০২১’ উদ্যাপন সফল হোক -এ কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”