ঢাকা, ৫ কার্তিক (২১ অক্টোবর) :

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ২২ অক্টোবর ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক
দিবস-২০২১’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ২২ অক্টোবর সারাদেশে ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-
২০২১’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।

বাংলাদেশে উন্নত সড়ক অবকাঠামো বৃদ্ধির সাথে সাথে সড়কপথে মোটরযানের সংখ্যা
ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব যানবাহনের অনিয়ন্ত্রিত গতি সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।
তাই জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি রোধকল্পে গতিসীমা মেনে চলা আবশ্যক। এ প্রেক্ষাপটে
জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘গতিসীমা মেনে চলি, সড়ক দুর্ঘটনা
রোধ করি’ যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
উন্নত যোগাযোগ অবকাঠামো এবং পর্যাপ্ত পরিবহণ সেবা টেকসই আর্থসামাজিক
উন্নয়নের পূর্বশর্ত। বিশ্বায়নের প্রেক্ষাপটে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার
মাধ্যমে পরিবহণ ব্যয় ও মূল্যবান সময়ের সাশ্রয় খুবই প্রয়োজন। আধুনিক সড়ক পরিবহণ
অবকাঠামো এবং দক্ষ পরিবহণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকার দেশীয় সম্পদ
ব্যবহারসহ বৈদেশিক বিনিয়োগের মাধ্যমে পরিবহণ ব্যবস্থার আধুনিকায়নে নিরলস প্রয়াস
অব্যাহত রেখেছে। এ খাতে চলমান গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে জাতীয় মহাসড়ক
চার লেনে উন্নীতকরণ, এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ও বাস র‌্যাপিড
ট্রানজিট নির্মাণ।

সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নের সাথে সাথে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
সড়ক দুর্ঘটনাজনিত জীবনহানি এবং শারীরিক ও আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে
আনার ক্ষেত্রে সড়ক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি গ্রহণের গুরুত্ব অপরিসীম। সড়ক
নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে পরিবহণ মালিক, শ্রমিক, যাত্রী, পথচারী নির্বিশেষে সকলের এ
সংক্রান্ত আইন ও বিধিবিধান জানা এবং তা মেনে চলা আবশ্যক। আমি আশা করি, সড়ক
নিরাপত্তা কার্যক্রমকে টেকসই করতে সংশ্লিষ্ট সকলে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাবেন।
‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২১’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচি সফল হোক- এ
কামনা করি। আমি আশা করি, এ আয়োজন নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকল্পে জনগণের মাঝে
ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করতে সহায়ক হবে।

জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”