ঢাকা, ২২ কার্তিক (৭ নভেম্বর) :
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে ভ্যাক্সিনের কোনো
ঘাটতি নেই। হাতে এক কোটির উপরে ভ্যাক্সিন আছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী
দেশের সব মানুষকেই ভ্যাক্সিন দেয়া হবে। সেজন্যই আমরা ২১ কোটি ডোজ ভ্যক্সিন কিনে
রেখেছি। সেখান থেকে এ মাসে অন্তত তিন কোটি ডোজ ভ্যাক্সিন আসবে। আগামী মাসেও একই
হারে আসবার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যেই অন্তত ৭ কোটি ডোজ ভ্যক্সিন দেয়া হয়েছে। এভাবে
চলতে থাকলে আগামী বছর জানুয়ারি মাসের মধ্যেই অন্তত ১২ কোটি ডোজ ভ্যক্সিন দেয়া
সম্ভব হবে। সেটি করা গেলে করোনায় মৃত্যুহার শূন্যের কোটায় নামানো সম্ভব হবে।
আজ দুপুরে গাজীপুরের কাশিমপুরে নতুন একটি ঔষধ কোম্পানি ডিবিএল
ফার্মাসিউটিক্যালসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা
বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
দেশে করোনা মহামারি চলাকালেও কোথাও ওষুধের ঘাটতি দেখা দেয়নি। গ্রাম পর্যায়েও
এই ওষুধ ছিল পর্যাপ্ত। বাংলাদেশ দেশীয় চাহিদার ৯৮ ভাগ পূরণ করেও বিদেশে ওষুধ রপ্তানি
করে প্রচুর আয় করছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় বলেন, "বাংলাদেশের ওষুধ এখন
বিশ্বের ১৪৫ টি দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। এই ওষুধ বিদেশে রপ্তানি করে গত ছয় বছরে ৫
বিলিয়ন আয় থেকে এখন ৩১ বিলিয়ন রপ্তানি আয় করা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি, দেশের প্রায়
৯৮ ভাগ মানুষের সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে দেশের ওষুধ দিয়েই। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির পর
দেশের অন্যতম বড় একটি আয়ের উৎস হতে যাচ্ছে ওষুধ কোম্পানি। তবে দেশে যেন কোনো
ভেজাল ওষুধ না থাকে ও মানসম্পন্ন এবং সাশ্রয়ী ওষুধ হয় তার জন্য সরকার একটি নতুন
ঔষধ নীতিমালা করতে যাচ্ছে। এতে করে দেশের বাজারে অকারণে কেউ আর মূল্য বৃদ্ধি করতে
পারবে না।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নতুন প্রতিষ্ঠিত ডিবিএল ফার্মাসিউটিক্যালসটির শুভ
উদ্বোধন ঘোষণা করেন ও প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন করেন। এসময় সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে
মিল্লাত এমপি, কেন্দ্রীয় ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহাবুবুর রহমান,
ডিবিএল ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে ছিলেন।