কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলটির গ্রেপ্তার কেন্দ্রীয় নেতারা।
অন্যান্য দলের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ ও গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক জামিন পেয়েছেন।
ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ মঙ্গলবার জামিনের এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানিয়েছেন রুহুল কবির রিজভী ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ অন্যদের আইনজীবী ও বিএনপির সহ-আইনবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ জয়নুল আবেদীন।
বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বলেন, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গত কয়েক দিনে যেসব নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে আজ যাঁদের জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল, তাঁদের প্রত্যেকের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
জামিন পাওয়া বিএনপি শীর্ষ নেতাদের মধ্যে আরও রয়েছেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, দলটির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
এ ছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম নিরব, সদস্যসচিব ফুটবলার আমিনুল হক, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন (টুকু) জামিন পেয়েছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় বিপুলসংখ্যক মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়। আন্দোলন শুরুর পরে গত ৩০ জুলাই পর্যন্ত ১৪ দিনে সারা দেশে মোট ১০ হাজার ৪৩১ জন গ্রেপ্তারের তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরাও রয়েছেন।