চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে পাসের হার জিপিএ-৫ অর্জনের দিক দিয়ে এগিয়ে ছাত্রীরা। এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন মোট ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে পাস করেছেন ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। উত্তীর্ণদের মধ্যে ছাত্রী ৮ লাখ ৬৫ হাজার ৬০০ জন এবং ছাত্র ৮ লাখ ৬ হাজার ৫৫৩ জন। সেই হিসাবে ৫৯ হাজার ৪৭ জন ছাত্রী বেশি পাস করেছে।
পাসের গড় হারের দিক দিয়ে এগিয়ে ছাত্রীরা। ১১টি বোর্ডে এবার গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। সেখানে ছাত্রীদের পাসের হার ৮৫ শতাংশ এবং ছাত্রদের পাসের হার ৮২ দশমিক ৩৯ শতাংশ। সেই হিসাবে পাসের হারে ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীরা ২ দশমিক ৬১ শতাংশ এগিয়ে।
এসএসসির ফলাফলে সব দিকে এগিয়ে মেয়েরা
অন্যদিকে, জিপিএ-৫ অর্জনের দিকে দিয়েও বেশ এগিয়ে রয়েছে ছাত্রীরা। এ বছর এসএসসিতে সব বোর্ড মিলিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। তাদের মধ্যে মেয়ে ৯৮ হাজার ৭৭৬ এবং ছেলে ৮৩ হাজার ৩৫৩ জন। সেই হিসাবে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছে ১৫ হাজার ৪২৩ জন।
শিক্ষায় ছেলেরা কেন পিছিয়ে, কারণ খুঁজতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
এসএসসিতে শতভাগ পাসের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেড়েছে
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ছাত্রীরা কয়েক বছর ধরেই এগিয়ে। হঠাৎ এবারই যে তারা ভালো করেছে, তা নয়। তাই ছাত্রীদের এগিয়ে থাকা নিয়ে প্রশ্ন না তুলে ছাত্ররা কেন পিছিয়ে যাচ্ছে, সেটা নিয়ে ভাবা উচিত।
এসএসসির ফলাফলে সব দিকে এগিয়ে মেয়েরা
তিনি বলেন, দেখুন, এবার ছাত্রদের চেয়ে প্রায় ৩৬ হাজার ছাত্রী বেশি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। ছাত্রীরা একাডেমিক পড়ালেখায় সবসময় ভালো। ছাত্ররা অনেক সময় মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও হেলায় সময় নষ্ট করে দু-একটা বিষয়ে খারাপ করায় পুরো ফলাফলে প্রভাব পড়ে। হয়তো সে আর জিপিএ-৫ পেতে পারে না। পড়ালেখা থেকে ছাত্রীদের চেয়ে এখন ছাত্রদের ঝরে পড়ার হারও বাড়ছে। সবমিলিয়ে ফলাফলে হয়তো সেটারই প্রভাব পড়েছে।
চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শেষ হয় ১২ মার্চ। এরপর ১৩ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এতে সারাদেশের ৩ হাজার ৭০০ কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এবছর ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড এবং মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।