যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট, শান্তিতে নোবেলজয়ী শতবর্ষী জিমি কার্টারের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বিশ্বনেতারা। স্থানীয় সময় রোববার জর্জিয়া রাজ্যের প্লেইনসে নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। কার্টারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে তাঁর প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান কার্টার সেন্টার। খবর রয়টার্সের

ভার্জিন আইল্যান্ডের সেন্ট ক্রোইক্সে দেওয়া এক ভাষণে বাইডেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারকে ‘দীর্ঘদিনের বন্ধু’ বলে উল্লেখ করে তাঁর ‘শিষ্টাচার’ ও ‘মানবিক মূল্যবোধের’ প্রশংসা করেন। বাইডেন বলেন, আপনি কি ধারণা করতে পারেন, তিনি (জিমি কার্টার) কাউকে তাঁর চেহারা কিংবা কথা বলার ধরন দিয়ে বিবেচনা করছেন? আমি অন্তত তা পারি না।

শোক জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, জিমি কার্টার সত্যিই একজন ভালো মানুষ ছিলেন। আমেরিকাকে আরও শ্রেষ্ঠ বানানোর জন্য তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছেন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, পরিস্থিতি যতই প্রতিকূল হোক না কেন, তিনি বরাবর মানুষের ভালোর জন্য কাজ করেছেন। প্রেসিডেন্ট থাকা এবং পরবর্তী সময়ে জিমি কার্টারের কাজের কথা স্মরণ করে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেন, তিনি আমাদের বাতাস-পানি রক্ষায় কাজ করেছেন।

শোক জানিয়ে যুক্তরাজ্যের রাজা চার্লস বলেন, জিমি কার্টার একজন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জনগণের সেবক ছিলেন। শান্তি ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, জিমি কার্টার দয়া, উদারতা, সহানুভূতি ও কঠোর পরিশ্রমের জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। এক্স বার্তায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বলেন, সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা মানুষের অধিকার আর শান্তির পক্ষে জীবনভর অবিচল ও অক্লান্তভাবে কাজ করেছেন জিমি কার্টার। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো বলেন, শান্তি ও সংলাপের পক্ষে সব সময় তিনি প্রতিশ্রুতিশীল ছিলেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শোক জানিয়ে বলেন, তিনি এমন একসময়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যখন ইউক্রেন স্বাধীনতা অর্জন করেনি।