বড় রানের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েও স্বপ্নপূরণ হলো না নেপালের। রোববার ২০২৩ সালের একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচে ৩৫ বল বাকি থাকতেই জিম্বাবুয়ের কাছে আট উইকটে হেরে গেল ভারতের পড়শি দেশ। জিম্বাবুয়ের হয়ে জোড়া সেঞ্চুরি করেন শন উইলিয়ামস এবং ক্রেগ আরভাইন। ১২৮ বলে ১২১ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক। তবে নজর কেড়ে নিয়েছেন শন। যিনি শেষ সাত বলে ২৬ রান করে দুর্ধর্ষ ভঙ্গিতে শতরান পূরণ করেন তিনি। তারইমধ্যে চূড়ান্ত হতাশ করেছেন নেপালের বোলার সন্দীপ লামিচানে। যিনি ১০ ওভারে ৭৭ রান খরচ করেন।

রোববার জিম্বাবুয়ে আহামরি বোলিং না করলেও ব্যাটাররা তা পুষিয়ে দেন। ২৯১ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরুটা মন্দ করেনি জিম্বাবোয়ে। প্রথম উইকেটে ৪৫ রান যোগ করেন আরভাইন এবং জয়লর্ড গামবি। ২৫ রান করে গামবি আউট হয়ে যাওয়ার পর জিম্বাবোয়ের ইনিংসের হাল ধরেন আরভাইন। যোগ্যসংগত করেন ওয়েসলি মাধেভেরে। দ্বিতীয় উইকেটে দু’জনের জুটিতে ৮২ রান ওঠে। তারপর মাধেভেরে (৩২ রান) আউট হয়ে গেলেও শনের সঙ্গে জুটি বেঁধে জিম্বাবুয়েকে জয়ের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন আরভাইন।

৩৭.৪ ওভারে আরিফ শেখের বলে কভার দিয়ে রাজকীয় ভঙ্গিমায় বাউন্ডারি মেরে শতরান পূরণ করেন জিম্বাবোয়ের অধিনায়ক। তারইমধ্যে অর্ধশতরান পূরণ করে ফেলেন শনও। শেষের দিকে একেবারে ঝড় তোলেন তিনি। একটা সময় যিনি ৬৩ বলে ৭৬ রানে খেলছিলেন, তিনি মাত্র ৭০ বলে ১০২ রানে অপরাজিত থাকেন। অর্থাৎ শেষ সাত বলে ২৬ রান করেন (চার, চার, চার, ছক্কা, দুই, দুই, চার) শন। সেই ঝড়ের সুবাদে বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারের প্রথম ম্যাচে আট উইকেটে জিতে যায় জিম্বাবুয়ে।

পুরোপুরি হতাশাজনক বোলিং করে নেপাল। একটি করে উইকেট পান সোমপাল কামি এবং গুলশন ঝা। সবচেয়ে বেশি রান খরচ করেন লামিচানে। অথচ নেপালের ওপেনাররা আজ হারারাতে দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন। প্রথম উইকেটে ১৭১ রান যোগ করেন কুশল ভুরতেল এবং আসিফ।

কিন্তু ৯৫ বল ৯৯ রান করে কুশল আউট হওয়ার পরই খেই হারিয়ে ফেলে নেপাল। কিছুক্ষণ পর প্যাভিলিয়নে ফেরেন আসিফ (৬৬ রান)। তারপর কুশল মাল্লা এবং রোহিত পৌদেল কিছুটা চেষ্টা করলেও নির্ধারিত ৫০ ওভারে আট উইকেটে ২৯০ রানের বেশি তুলতে পারেনি নেপাল। অথচ একটা সময় মনে হচ্ছিল