টানা তৃতীয় মেয়াদে রোববার (৯ জুন) ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। এদিন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভবনে তার পাশাপাশি নতুন মন্ত্রিসভার ৩০ জন সদস্যও শপথ নেবেন। সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিট থেকে ৮টা পর্যন্ত স্থায়ী হবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান।
এবার শপথ নেওয়ার মাধ্যমে ভারতের ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন মোদী। তার আগে জওহরলাল নেহেরু ১৯৫২, ১৯৫৭ ও ১৯৬২ মেয়াদকালে টানা তিনবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মোদীর পরে শপথ নেওয়ার পর শীর্ষ মন্ত্রীরা শপথ নেবেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, অর্থ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আর এসব মন্ত্রণালয়ের দখল বিজেপির হাতেই থাকবে। পূর্ণ মন্ত্রিসভা ৭৮ থেকে ৮১ সদস্যের হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
- ১২ আসনে জিতে ২ মন্ত্রণালয় পাচ্ছে নীতিশ কুমারের দল
- মোদীর শপথ সামনে রেখে মন্ত্রণালয় ভাগাভাগির বৈঠক জোটের
- পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় থাকতে পারেন যারা
১০ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম সংখ্যাগরিষ্ঠতার ঘাটতিতে পড়েছে মোদীর দল বিজেপি, যার প্রভাব শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ও মন্ত্রিসভা গঠনেও দেখা যাবে। মিত্রশক্তি, বিশেষ করে চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) ও নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) একাধিক মন্ত্রণালয়ের দখল পেতে মোদীকে চাপ দিচ্ছে।
সোমবার (১০ জুন) শপথ নেওয়া নেতাদের মধ্যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের প্রতিনিধিরা থাকবেন, যাদের মধ্যে কেউ কেউ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রিত্ব পেতে পারেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টিডিপি চারটি ও জেডিইউ দুটি মন্ত্রণালয়ের পেতে পারে। তবে তাদের সবাই আগামীকাল শপথ নেবেন কি না, তা স্পষ্ট নয়।
জানা গেছে, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ কুমার জগনাউথ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহল ‘প্রচন্ড’, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে ও সেশেলসের ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ আফিফসহ বেশ কয়েকজন বিদেশি নেতা।
এদিকে, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট ভবনে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেখানে ভারতের প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু মোদীকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দিল্লি পুলিশের সোয়াত ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের (এনএসজি) কমান্ডোদের অনুষ্ঠানস্থল ও অন্য কৌশলগত অবস্থানের চারপাশে মোতায়েন করা হবে।
তাছাড়া শপথগ্রহণ উপলক্ষে পুলিশ দিল্লিকে নো-ফ্লাই জোন ঘোষণা করেছে। আগামী কয়েক দিনের জন্য এই শহরের ওপর দিয়ে কোনো ড্রোন, প্যারা গ্লাইডার, প্লেন ও উষ্ণ বাতাসের বেলুনসহ আকাশে ওড়ে এমন যে কোনো যন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে।