ঢাকা, ১৮ শ্রাবণ (২ আগস্ট) :
বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অভিযানে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা মূল্যমানের ৬০ হাজার
পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
বিজিবি’র এক প্রেস রিলিজে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে আজ
ভোররাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ সাবরাং বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ
এলাকায় বিআরএম-৪ হতে আনুমানিক ১ কিলোমিটার দক্ষিণে আড়িয়াখালী মাঠ চিংড়ির ঘের
এলাকা দিয়ে মিয়ানমার হতে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। উক্ত
সংবাদের ভিত্তিতে সাবরাং বিওপি’র একটি বিশেষ টহলদল দ্রুত বর্ণিত এলাকায় গমন করে
কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে বেড়িবাঁধ ও আড়িয়াখালী মাঠের ভেতর আইলের আঁড় নিয়ে
গোপনে অবস্থান গ্রহণ করে। আনুমানিক সাড়ে আটটায় টহল দল ১ জন দুষ্কৃতকারীকে নাফ
নদী ও বেড়িবাঁধ পার হয়ে আড়িয়াখালী মাঠের উত্তর দিক দিয়ে ১টি প্লাস্টিকের বস্তা কাঁধে
নিয়ে আড়িয়াখালী গ্রামের দিকে যেতে দেখে। টহলদল উক্ত ব্যক্তিকে দেখা মাত্রই তাকে
চ্যালেঞ্জ করে খুব দ্রুত অগ্রসর হয়। দুষ্কৃতকারী দূর হতে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি
অনুধাবন করা মাত্রই বহনকৃত বস্তাটি ফেলে দিয়ে মাছের ঘেরের আঁড় ব্যবহার করে খুব
দ্রুত পার্শ্ববর্তী গ্রামে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে টহলদল বর্ণিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে ইয়াবা
পাচারকারীর ফেলে যাওয়া ১টি প্লাস্টিকের বস্তা উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত বস্তাটির ভেতর
হতে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা মূল্যমানের ৬০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করতে সক্ষম
হয়। ইয়াবা কারবারিকে আটকের নিমিত্তে বর্ণিত এলাকা ও পার্শ্ববর্তী স্থানে ১০টা
পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোনো পাচারকারী কিংবা তার সহযোগীকে আটক
করা সম্ভব হয়নি। উক্ত স্থানে অন্য কোনো অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায়
ইয়াবা কারবারিকে শনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি। তবে তাকে শনাক্ত করার জন্য
ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উদ্ধারকৃত মালিকবিহীন ইয়াবাগুলো
বর্তমানে ব্যাটালিয়ন সদরের স্টোরে জমা রাখা হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনি কার্যক্রম
গ্রহণ করে পরবর্তীতে তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট,
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া
কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।