ঢাকা, ২৯ আষাঢ় (১৩ জুলাই) :

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, টেকসই জ্বালানি মিশ্রণে পরিচ্ছন্ন ও সবুজ জ্বালানির অংশ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানিও এ জ্বালানি মিশ্রণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

আজ অনলাইনে মালয়েশিয়ার সাথে বাংলাদেশের এলএনজি সরবরাহে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান অনুসারে ২০৪১ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনেই প্রতিদিন গ্যাসের প্রয়োজন হবে ৩ হাজার ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। কিন্তু প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ কমে যাচ্ছে। অনুসন্ধান কার্যক্রম বৃদ্ধি করার সাথে সাথে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানিকেও গুরুত্ব দিতে হচ্ছে। বর্তমানে দুটি এফএসআরইউ রয়েছে এবং একটি স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার নেপথ্যের কারিগর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি। তাই সরকার জ্বালানি নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী এসময় বলেন, ভ্রাতৃপ্রতিম মালয়েশিয়ার সাথে কর্মসংস্থান শ্রমিক, পর্যটন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, মানব পাচার ইত্যাদি বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি, সমঝোতা চুক্তি, প্রোটোকল দ্বারা ২০টি চুক্তি রয়েছে। আজকের এই সমঝোতা স্মারক জ্বালানি সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে।

 বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাথে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ইউনিটের এলএনজি সরবরাহে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং মালয়েশিয়ার পক্ষে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থনৈতিক বিভাগের মন্ত্রী Mustapa Mohamed স্বাক্ষর করেন।

বাংলাদেশের বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা) এবং মালয়েশিয়ার পেট্রোনাস এলএনজি লিমিটেড ও গ্লোবাল এলএনজি এসডিএন সম্মিলিতভাবে বাণিজ্যিক শর্তাদি চূড়ান্ত করে পরবর্তী কার্যক্রম সম্পাদন করবে। নন-বাইন্ডিং এই সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ প্রাথমিকভাবে দুই বছর হবে। উভয় পক্ষের সম্মতিতে মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে।

ভার্চুয়াল এই অনুঠানে অন্যান্যের মাঝে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থনৈতিক বিভাগের মন্ত্রী মুস্তপা মোহামেদ ছাড়াও মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ গোলাম সারোয়ার ও বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত Puan Haznah Md. Hashim সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।