ঢাকা, ১০ ভাদ্র (২৫ আগস্ট):
ডিজিটাল শ্রেণিকক্ষে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষের বাইরেও বাড়িতে বসে
ডিজিটাল কনটেন্টে পাঠ গ্রহণের সুবিধা চায়। এজন্য তাদেরকে ল্যাপটপ দিতে হবে।
শিক্ষার্থীরা দাবি করছে তারা শ্রেণিকক্ষে টেলিভিশন দিয়ে পড়ার পাশাপাশি যাতে ঘরে
বসে ডিজিটাল কনটেন্টে পড়তে পারে সেজন্য তাদের হাতে যেন ডিজিটাল যন্ত্র দেওয়া
হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গতকাল মুন্সীগঞ্জ সদর
উপজেলার বাঘাইকালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল ক্লাশরুম পরিদর্শন করতে
গেলে শিক্ষার্থীরা এ দাবি জানায়।
সুবিধাবঞ্চিত প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলের ৬’শ ৫০টি সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে বিটিআরসি‘র এসওএফ তহবিলের অর্থায়নে
টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পের আওতায়
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় বাঘাইকান্দি এবং জাজিরা কৃষ্ণনগর সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়ে ডিজিটাল কনটেন্টে পাঠ দান শুরু হয়েছে। এরই মাঝে ৮২টি স্কুলে ট্যাবও
দেওয়া হচ্ছে। এতে তারা প্রোগ্রামিংও শিখতে পারবে।
ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের
প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি আমাদের এগিয়ে যাওয়ার চালিকা শক্তি। শিশুরা খেলার ছলে
আনন্দের সাথে তাদের এক বছরের সিলেবাস ২ মাসের মধ্যে শেষ করতে সক্ষম ।
শিশুদেরকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করতেই হবে। শিশুদেরকে প্রোগ্রামার বানানোর
পরিকল্পনা কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রথমবারের মতো স্কুলে শিশুদেরকে
প্রোগ্রামিং শেখানোর জন্য একটি সফটওয়্যারও দিচ্ছি। এটা সহজেই তাদের পক্ষে
আয়ত্ত করা সম্ভব।
পরে জেলার সিরাজদি খান উপজেলা ডাকঘর ও বিকারীবাজার সাব পোস্ট অফিস
ভবনের পুননির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন।