ঢাকা, ১৯ ভাদ্র (৩ সেপ্টেম্বর) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল যুগের উপযোগী
দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে না পারলে শিক্ষার মূল লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। তিনি
গবেষণার পাশাপাশি রোবোটিক্স, আইওটি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ব্লকচেইনসহ অন্যান্য
ডিজিটাল প্রযুক্তি কৃষি খাতে ব্যবহারে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালকে অগ্রণী ভূমিকা
পালনের আহ্বান জানান।
মন্ত্রী গতকাল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, টাইমস হায়ার এডুকেশন-এর তালিকায়
বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এক হাজার থেকে এক হাজার দুইশ’র মধ্যে স্থান লাভ
উপলক্ষ্যে বাকৃবি আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব
কথা বলেন।
বাকৃবি আইকিউএসি’র পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ তাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে
অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য
প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সুভাষ সিংহ রায় বক্তব্য রাখেন।
বাকৃবি আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ হারুন অর রশীদ অনুষ্ঠান
সঞ্চালনা করেন।
বাকৃবির এই অর্জন অত্যন্ত গৌরবের উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কৃষিভিত্তিক এই
দেশে সর্বশ্রেষ্ঠ কৃষি শিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রতিষ্ঠানটির এই অর্জন বাংলাদেশের অর্জন, এই অর্জন বাংলাদেশের জন্য বড় পাওনা।
তিনি বলেন, প্রায় ১৭ কোটি মানুষের এই দেশে খাদ্যে উদ্বৃত্তি বঙ্গবন্ধুর কৃষক ও কৃষি
উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপের ধারাবাহিকতার ফসল। বাংলাদেশের এই রূপান্তরে মানবসম্পদ
সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে। তিনি বলেন, বিশ্বে হাজার হাজার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে
বাকৃবি এক হাজার থেকে ১২’শ এর মধ্যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা
একটি অসাধারণ বিষয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী ডিজিটাল বাংলাদেশ
কর্মসূচির ফলে করোনা অতিমারির প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে দক্ষিণ এশিয়ায়
বাংলাদেশের জিডিপি অর্জন বিশ্বে চমক সৃষ্টি করেছে। অতীতে তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস
করে শেখ হাসিনা পশ্চাৎপদ একটি দেশকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বা সোসাইটি ফাইভ পয়েন্ট
জিরো এর নেতৃত্বের জায়গায় উপনীত করেছেন। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে আইওটি ডিভাইস দিয়ে
কৃষক জানতে পারবে তার সেচ ও সার কখন দিতে হবে, কতটুকু দিতে হবে। পুকুরে মাছকে কখন
কতটুকু খাবার দিতে হবে। ফলে কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা হবে। তিনি এই লক্ষ্যে
বাকৃবিকে উপযু্ক্ত মানবসম্পদ তৈরির পরামর্শ দেন।

র‌্যাংকিং তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ২০২১ সালে ৯৩ দেশের প্রায় ১০ হাজার
বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১ হাজার ৬শ’ ৬২টির মধ্যে স্থান পেয়েছে। জাতিসংঘ নির্ধারিত
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ভিত্তিতে গবেষণা, আউটরিচ এবং শিক্ষণ এর
মানদণ্ডে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।