ঢাকা, ২৫ আশ্বিন (১০ অক্টোবর) :
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যাতে ‘অপব্যবহার’ না হয়, সেজন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে কোনো সাংবাদিককে যাতে অন্যায়ভাবে হয়রানি করা না হয়, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হয়রানি করতে চাইলে তার বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এই মন্তব্য করেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করার ক্ষেত্রে পুলিশের বিশেষ সেলের সুপারিশ নেওয়ার পদক্ষেপটি জোরদার করা হবে।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত কমিশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন করতে তদন্ত কমিশন গঠন করা হবে। তিনি বলেন, তদন্ত কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরপরই সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ মহামারি দেখা দেয়। এই সময়ে কমিশন নিয়ে ব্যস্ত থেকে কোভিড-১৯ মোকাবেলা না করলে ‘সেটা বোধ হয় বিবেচকের কাজ হতো না’।
আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। এটার অবকাঠামো কী হবে, এটা কোন আইনের আওতায় থাকবে বা নতুন কোনো আইনের প্রয়োজন হবে কি-না, এটার পরিধি কেমন হবে- এগুলোর খসড়া তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে। নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে সার্চ কমিটি গঠন প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, হয়তো বা সার্চ কমিটি গেজেটেড, এটা আইন নয়, যেহেতু সকলের কনসেনসাসের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি এটা করেছেন, এটা আইনের কাছাকাছি। কারণ, এটা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেছে।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আইনটি করা প্রয়োজন, তবে বর্তমান মহামারি পরিস্থিতিতে এত দ্রুত সম্ভবপর নয়। কোভিড সিচুয়েশন ইমপ্রুভ করলে আমরা পুরো সংসদে সাড়ে তিনশ সদস্য বসতে পারব, বসে এই রকম একটা গুরুত্বপূর্ণ আইন পাস করতে পারব। সেই জিনিসটা কিন্তু আমাদের হচ্ছে না। সে কারণে আমি বলেছি, ১৫ ফেব্রুয়ারি মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে, এই সময়ের মধ্যে করা সম্ভব নয়। এই বার সার্চ কমিটি করবে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানীর সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।