যোবায়ের আহমেদ: উত্তরায় আজমপুরে আমির কমপ্লেক্সের সামনে আজ মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর ২০২৪ ইং ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের আহবানে “ডেঙ্গু চিকিৎসা এবং প্রতিরোধে সচেতন হোন” এর লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
সকাল ১১ টায় উত্তরার আজমপুরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে উত্তর বিএনপির উদ্যোগে “ডেঙ্গু চিকিৎসা এবং প্রতিরোধে সচেতন হোন” এর লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য হাজী মোঃ ইউসুফ।
নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দেশের মানুষের চাহিদা অনেক বেশি উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী আহম্মেদ বলেছেন, এই সরকারের আমলে মহামারীতে একজন লোকও যেন বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়।
প্রধান অতিথি রিজভী আহম্মেদ বলেছেন, ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে অবস্থান করা ফ্যাসিবাদের দোসর শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে যেন গণকবরে পরিণত করেছিলো।
প্রশাসনে এখনো অনেক ফ্যাসিবাদের দোসর রয়েছে বলে অভিযোগ করে রিজভী আহম্মেদ তিনি আরো বলেন , শেখ হাসিনার আমলে নিয়োগ পাওয়া ৮০৩ জন পুলিশের উপ-পরিদর্শককে বিভিন্ন থানায় পোস্টিং দেওয়া হচ্ছে খবর পাচ্ছি। এরা কেউ-ই নিরপেক্ষ নন। তারা সবাই হাসিনার ক্যাডার। এদের মধ্যে ২শ পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছে, যাদের বাড়ি গোপালগঞ্জে। এই সব পুলিশ কর্মকর্তাদের ব্যাপারে তদন্ত করতে হবে। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালানো পুলিশ কর্মকর্তাদের বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই ধরনের কর্মকর্তাদের পুলিশে বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব দেওয়া হলে তা ছাত্র জনতার রক্তের সাথে বেইমানী করা হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে প্রশ্ন রেখে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রিজভী বলেন, যে পুলিশ ছাত্রজনতার ওপর গুলি চালিয়ে শহীদ করেছে, সেই সব পুলিশ কিভাবে এখনো প্রশাসনে বহাল আছে? গোপালগঞ্জের মতো জেলার বাসিন্দা পুলিশের ২০০ এস আই কিভাবে এখনো হাসিনার ফ্যাসিবাদের পক্ষে কাজ করছে?
এই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন দিয়ে শেখ হাসিনা ছাত্রজনতা এবং রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালিয়ে, গুম-খুন করে বাংলাদেশকে গণকবরে পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, প্রশাসনের এসব ব্যক্তিদের শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। তা ছাড়া শহীদের আত্মা শান্তি পাবে না।
জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থান সফলে ছাত্রজনতা গুলির মুখে বুক পেতে দিয়ে শহীদ হয়েছেন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আন্দোলন চলাকালে একজন পুলিশ কর্মকর্তা ভিডিও দেখিয়ে তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছিল, ‘স্যার একজন মরে, আরো দুইজন দাঁড়িয়ে যায়।’ এই ধরনের কর্মকর্তাদের পুলিশে বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব দেওয়া হলে তা ছাত্রজনতার রক্তের সাথে বেইমানী করা হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদ্য সাবেক সদস্য সচিব জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন ও হাজী মোস্তফা জামান এর সঞ্চালনায় লিফলেট বিতরণ পূর্ব অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ রফিকুল ইসলাম, জাসাসের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রোকন, রংপুর বিভাগের বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, সাবেক যুবদলের নেতা এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন সহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।