ঢাকা, ১৪ শ্রাবণ (২৯ জুলাই) :
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক বলেছেন, বাংলাদেশের
সোনালী ঐতিহ্য মসলিনকে বড় পরিসরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদনের জন্য ‘ঢাকাই
মসলিন হাউজ’ প্রতিষ্ঠা করবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রী আজ সচিবালয়ে ‘বাংলাদেশের সোনালী ঐতিহ্য মসলিনের সুতা তৈরির প্রযুক্তি
ও মসলিন কাপড় পুনরুদ্ধার’ শীর্ষক প্রকল্পের ‘জনপ্রশাসন পদক-২০২১’ প্রাপ্তি এবং
২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে ৯ম স্থান অর্জন
উদ্যাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকার অদুরে রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবতে জুটো ফাইবার গ্লাস
ইন্ড্রাস্ট্রিজ এর জমিতে ‘ঢাকাই মসলিন হাউজ’ তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
বাণিজিক উৎপাদনের ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিপুল সংখ্যক লোকের, বিশেষ করে
নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে। শীঘ্রই বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের
তালিকায় মসলিন কাপড় যুক্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। ঢাকাই মসলিন রপ্তানি
করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে
বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। অচিরেই বাংলাদেশের অন্যতম ব্র্যান্ডিং হবে “ঢাকাই
মসলিন”। সোনালী ঐতিহ্যের ঢাকাই মসলিন, আবারও মাতাবে বিশ্ব।
এ সময় সচিব বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় মো. আবদুল মান্নান এবং বাংলাদেশ তাঁত
বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ শাহ আলমসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত
ছিলেন।
বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়িত এ প্রকল্পের মাধ্যমে ১৭০ বছর পূর্বে
হারিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সোনালী ঐতিহ্য ও বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ড ঢাকাই মসলিন
পনরুদ্ধার করে হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ব্যাপক অনুসন্ধান ও গবেষণার মাধ্যমে
মসলিনের কাঁচামাল ফুটি কার্পাস খুঁজে বের করা, ফুটি কার্পাসের চাষাবাদ, সুতা উৎপাদন,
কারিগরদের দক্ষতা উন্নয়ন করে উন্নতমানের মসলিন উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে।
মসলিরের ভৌগলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ ও পেটেন্ট অর্জিত হওয়ায় দেশের ঐতিহ্যবাহী
তাঁতশিল্পের টেকসই উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।