নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা-১৮ আসনে নৌকার প্রার্থী না থাকায় কেটলি মার্কার প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. খসরু চৌধুরী সিআইপিকে বিজয়ী করতে একাট্টা হয়ে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে ভোট প্রার্থনা করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ১৮ ডিসেম্বর প্রচারণার শুরু থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত খসরু চৌধুরীকে বিজয়ী করতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে কেটলি মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেন তারা।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র থেকে শুরু করে কাউন্সিলরগণ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী খসরু চৌধুরীর পক্ষে থাকায় তার বিজয় নিশ্চিত এমনটা মনে করছেন সচেতন ভোটাররা।

স্মার্ট ঢাকা-১৮ আসন গঠন, আধুনিক ও বাসযোগ্য নগরী গড়ার প্রত্যয়ে সকলের কাছে শান্তির বার্তা পৌঁছে দিয়ে ভোটারদের মন জয় করেছেন কেটলি মার্কার প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. খসরু চৌধুরী সিআইপি। তাকে ঘিরেই আগামীর স্বপ্ন দেখছেন ঢাকা-১৮ আসনের নেতাকর্মীরা।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মতে, নিজ দলীয় নেতাকে জেতানোর সুযোগ তারা হাত ছাড়া করতে চান না। তাই ক্লিন ইমেজ নিয়ে অন্যান্য প্রার্থীর চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকা কেটলি মার্কার প্রার্থী খসরু চৌধুরীর পক্ষে রয়েছেন তারা।

নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু থেকে আওয়ামী লীগের যেসব নেতা খসরু চৌধুরীর পাশে থেকে সমর্থন জানিয়েছেন তারা হলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মফিজ উদ্দিন বেপারী, মাহবুবুর রহমান হিরন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক এস এম মাহবুবুল আলম, কার্যকরী সদস্য এস এম রাজু আহমেদ, রফিকুল ইসলাম বেপারী, ফয়েজ আহমেদ, মো. মহিবুল হাসান, কাজী সালাউদ্দিন পিন্টু, উত্তর খান থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মিলন, দক্ষিণ খান থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আবু হানিফ, সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মাসুদুজ্জামান মিঠু, তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন, খিলক্ষেত থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কেরামত আলী দেওয়ান, উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড মনোয়ার ইসলাম চৌধুরী রবিন, ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাউদ্দিন খোকা ও সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন লাভলু প্রমুখ।

১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আফসার উদ্দিন খান, ৪৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া, ৪৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোতালেব মিয়া, ৪৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনিসুর রহমান নাইম, ৫১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শরিফুর রহমান, ৫৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন, ৫৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর যুবরাজ খান, ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তরের নারী কাউন্সিলর জাকিয়া সুলতানা, কমলা রানী মুক্তা, সাবেক কাউন্সিলর বুলবুল দেওয়ানও সমর্থন জানিয়ে পাশে রয়েছেন খসরু চৌধুরীর।

এছাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী রয়েছেন কেটলি মার্কার প্রার্থী খসরু চৌধুরীর সঙ্গে।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি বলেন, “আসনটি জাতীয় পার্টির লাঙ্গলকে ছাড় দিয়ে নৌকার প্রার্থী বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে আমাদের কোনো নির্দেশনা নেই। তাই আমরা আমাদের দলীয় নেতা খসরু চৌধুরীকে সমর্থন দিয়েছি। আমি ছাড়াও দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী কেটলির নির্বাচন করছে। আমরা বিজয়ী হবো এ বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী।”

৫২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি সোহেল মিয়া বলেন, “সবার আগে ভোটের মাঠ নিজেদের দখলে নিয়েছেন খসরু চৌধুরী। দক্ষিণখান ও উত্তরখান এলাকায় উনার ব্যবসা, ফসলি জমি ও বাসাবাড়ি। এখানে উনি এগিয়ে আছেন।”

উত্তরখান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মিলন বলেন, দীর্ঘ একযুগেরও বেশি সময় ধরে খসরু চৌধুরী ঢাকা-১৮ আসনের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দূর করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ঢাকা-১৮ আসনের প্রতিটি ওয়ার্ডে তার প্রতিষ্ঠিত সেবামূলক প্রতিষ্ঠান কে সি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নিম্নআয়ের অসহায় মানুষ, কর্মহীন, বেকার জনগোষ্ঠী, ফুটপাত ও বস্তিতে থাকা পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সময়ে ঢাকা-১৮ আসনের প্রতিটি ওয়ার্ডে কে সি ফাউন্ডেশনের কর্মী বাহিনীদের নিয়ে ত্রাণ তৎপরতা চালিয়েছেন। ঢাকা-১৮ আসনে যেখানেই মানুষ বিপদে পড়েছে সেখানেই পৌঁছেছে খসরু চৌধুরীর সহযোগিতা। নিজস্ব অর্থায়নে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল করে মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। ঢাকা-১৮ আসনের দক্ষিণখান ও উত্তরাখানে তার মালিকানাধীন নিপা গ্রুপে ৩০ হাজারেরও অধিক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। তার বিজয় নিশ্চিত।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী সালাউদ্দিন পিন্টু বলেন, ঢাকা-১৮ আসনের জনপ্রিয় নেতা খসরু চৌধুরী সিআইপি। তিনি জনবান্ধব, কর্মীবান্ধব, দলবান্ধব আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি সারা জীবন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন, নীতি-নৈতিকতার চর্চা করেছেন। অসহায় গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানো তার চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত হাতিয়ার হিসাবে স্মার্ট উত্তরা গড়তে তিনিই নির্বাচিত হবেন।

খসরু চৌধুরী বলেন, “আমি জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার একজন বিশ্বস্ত কর্মী। আওয়ামী লীগের নগর ও স্থানীয় নেতারা আমার সঙ্গে আছেন, সব সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরাও আছেন। আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী ও সাধারণরা ভোটাররা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন ইনশাআল্লাহ।”