৯ জানুয়ারি, ২০২৩:
তাইওয়ানকে ঘিরে ফেলে আবারও সামরিক মহড়া করল চীন। এক মাসের মধ্যে তাইওয়ানকে ঘিরে এটা চীনের দ্বিতীয়বা মহড়া।নতুন বছরের দ্বিতীয় রবিবারই তাইওয়ানবাসীর ঘুম উড়িয়ে এই সামরিক মহড়া সম্পন্ন করল চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। একটি বিবৃতি দিয়ে চীন নিজেই বিষয়টি জানিয়েছে।
পিএলএ’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রবিবার তাইওয়ানের চারপাশে যুদ্ধ মহড়া চালিয়েছে তারা। তাতে স্থলভাগে হামলা এবং সমুদ্রপথে আক্রমণের ওপর দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পিএলএ।
পিপলস লিবারেশন আর্মির ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড রবিবার গভীর রাতে এক বিবৃতি জারি করে। এতে বলা হয়, চীনা বাহিনী তাইওয়ানের আশেপাশে সমুদ্র এবং আকাশসীমায় ‘যৌথ যুদ্ধ প্রস্তুতি’ সম্পন্ন করেছে।
সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে পিএলএ আরও জানায়, যৌথ যুদ্ধের ক্ষমতা পরীক্ষা করা এবং ‘বহিঃশক্তি ও তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি’র উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডকে মোকাবিলা করার লক্ষ্যে প্রস্তুত থাকাই এই মহড়ার উদ্দেশ্য ছিল।এর আগে গত মাসেই চীনের পক্ষ থেকে একটি যুদ্ধ মহড়া সম্পন্ন করা হয়েছিল তাইওয়ান প্রণালীতে। তখন ৪৩টি চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছিল বলে অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, তাইওয়ানকে চীন নিজেদের এলাকা বলেই দাবি করে। তবে বিগত কয়েক দশক ধরে তাইওয়ান নিজেদের মতো সরকার পরিচালনা করে এসেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর চীনা গৃহযুদ্ধ শেষে কমিউনিস্ট বিরোধী চীনা রাজনীতিবিদরা পালিয়ে এসেছিলেন তাইওয়ানে। তখন তাইওয়ান সরকারকে ‘নির্বাসনে চীনা সরকার’ বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।
এদিকে কমিউনিস্ট চীনের সংবিধান বলে, যেকোনওভাবেই হোক (প্রয়োজনে যুদ্ধ) তাইওয়ানকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে জুড়তে হবে। ঐতিহাসিক এই প্রেক্ষাপটে এত দশক পর আজও সংঘাত জারি তাইওয়ান ও চীনের মধ্যে।