ঢাকা, ১০ ফাল্গুন (২৩ ফেব্রুয়ারি) :

তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিশ্চিত করতে সরকার পরিকল্পনা গ্রহণ
করেছে। ভূমি মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে এ সম্পর্কিত খসড়া প্রস্তাবনা প্রস্তুত করে মন্ত্রিপরিষদ
বিভাগে পাঠিয়েছে।

আজ ভূমি ভবনে স্থাপিত মডেল ‘শিশু দিবা যত্ন কেন্দ্র এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির
বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এই কথা জানান। এসময় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, সম্মানীয় অতিথি ছিলেন
ভূমি সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।

মন্ত্রী বলেন, দেশে সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য সম্পত্তির উত্তরাধিকার বিষয়ে
পৃথক আইন বলবৎ থাকলেও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের পুরুষ অথবা নারী হিসেবে পরিচিতি নির্ধারিত না
থাকায় সম্পত্তির উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ সম্পত্তির অধিকার থেকে
বঞ্চিত হওয়ার কারণে তারা নিগৃহীত হচ্ছেন, কেউ কেউ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেকে পরিবার
থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে জীবিকার্জনের তাগিদে ভিক্ষাবৃত্তির আশ্রয় নিচ্ছেন। যার ফলে সমাজে অসাম্য ও
বৈষম্যের সৃষ্টি হচ্ছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো প্রস্তাবনায় তৃতীয় লিঙ্গের
নাগরিকগণের পুরুষবাচকতা অথবা নারীবাচকতা নির্ধারণের পর চিকিৎসকের প্রত্যয়নপত্রের
ভিত্তিতে তাদের সম্পদের উত্তরাধিকার অর্জন করার কথা বলা হয়েছে। লিঙ্গের পুরুষবাচকতা অথবা
নারীবাচকতা নির্ধারণ করা সম্ভব না হলে তাদের নারী ও পুরুষ উত্তরাধিকার পরিমাণ যোগ করে এর
অর্ধেক সম্পত্তির উত্তরাধিকার করা যেতে পারে তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিকে। এসব প্রস্তাবনা
পরবর্তীতে সকলের মতামত গ্রহণ করে সংশোধন করে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান
ভূমিমন্ত্রী।

ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান সোলেমান খান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
ফরিদা পারভীন, ‘২০ টি শিশু দিবা-যত্ন কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক শবনম মোস্তারীসহ ভূমি
মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও আওতাভুক্ত দপ্তর-সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের
কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ভূমি ভবনে স্থাপিত অত্যাধুনিক মডেল শিশু দিবা যত্ন কেন্দ্রটিতে শিশু নিরাপত্তার
সব ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ‘ডে-কেয়ার ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার’ এর মাধ্যমে অভিজ্ঞ
কেয়ারগিভারদের দ্বারা কেয়ার সেন্টাররটি পরিচালনা করা হবে।