নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর দক্ষিণখানের কাওলা এলাকা থেকে ২২ মামলার পলাতক আসামী এবং প্রতারক চক্রের মূলহোতা হৃদয়কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

র‌্যাব জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম আলতাফ হোসাইন ওরফে হৃদয় মিয়া (৩০)। সে নারায়ণগঞ্জ জেলার মোঃ শফি মিয়ার পুত্র।

সংঘবদ্ধ এই প্রতারক চক্রটি বিভিন্ন লোকজনের নিকট থেকে অনুমানিক প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে আত্নসাত করেছেন।

আজ মঙ্গলবার র‌্যাব-১ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) মোঃ পারভেজ রানা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১, উত্তরার একটি দল জানতে পারে, গতকাল সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর দক্ষিণখান থানার কাওলা চান্দেরটেক এলাকায় নারায়ণগঞ্জে প্রতারণা পূর্বক বিপুল পরিমান অর্থ আত্নসাত সংক্রান্ত বিজ্ঞ আদালতে ২২ টি সিআর কোর্ট পিটিশন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী অবস্হান করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব সদস্যরা ওই স্হানে দ্রুত সাড়াশি অভিযান চালিয়ে প্রতারণা মামলায় দীর্ঘ দিনের পলাতক এবং ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী মোঃ আলতাফ হোসেন হৃদয় ওরফে মোঃ হৃদয় মিয়া (৩০)কে আটক করতে সক্ষম হয়।

ঘটনার বিবরণও মামলা সূত্রে জানা গেছে, প্রতারক চক্রের মূলহোতা মোঃ আলতাফ হোসেন হৃদয় ওরফে মোঃ হৃদয় মিয়া নারায়ণগঞ্জে নিজে প্রোপাইটর সেজে তার সঙ্গীয় বিভিন্ন জেলার আরো প্রতারক চক্রের ৫ জন সদস্য সহ ক্যাপিটাল সুপার মার্কেট (রুম নং- ২৫-২৬), গ্রীন রোড ফার্মগেইট ঢাকায় টিন ড্রাম আইপিএম নামক একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে চড়া লভ্যাংশ প্রদানের লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকের চেক প্রদান করে বিভিন্ন লোকজনের নিকট থেকে অনুমানিক ৬০ থেকে ৬৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে প্রতারক চক্রের মূলহোতা মোঃ আলতাফ হোসেন পাওনাদারদের মূল টাকা সহ লভ্যাংশ প্রদান না করে বিদেশে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে হৃদয় মিয়া দেশে ফেরত আসার পর সে পাওনাদারদের টাকা না দিয়ে বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পলাতক থেকে জীবন যাপন করে আসছিল। এঘটনায় ভুক্তভোগী পাওনাদারগণ মোঃ আলতাফ হোসেন হৃদয় ওরফে মোঃ হৃদয় মিয়ার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে অর্থ প্রাপ্তির নিমিত্তে ২০ থেকে ২২ টি চেক জালিয়াতি ও প্রতারনা মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত ওই আসামীকে পলাতক দেখিয়ে ২ টি মামলায় ১ বছর করে সাজা প্রদান পূর্বক ১৬ টি মামলায় ১৬ টি ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত প্রতারক র‌্যাবকে জানায়, তার বিরুদ্ধে প্রতারণা পূর্বক অর্থ আত্নসাত সংক্রান্তে বিজ্ঞ আদালতে ২২ টি সিআর কোর্ট পিটিশন মামলা বিচারাধীন আছে বলে স্বীকার করেছে।

তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।