পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমার খুব দুঃখ লাগে ছাত্রলীগের, যুবলীগের নেতারা চাকরি ব্যবসা কোনোটাই করতে পারে না। সামান্য ব্যবসা করতে গেলে তাদের দুর্নাম হয়। আর চাকরিও সহজে তারা পায় না। এ নিয়ে ভাবতে হবে; সবাইকে বলব একটা উপায় বের করার জন্য।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ মুজতবা আলী হলের আয়োজনে হলের বর্ধিত অংশ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ছাত্রলীগ, যুবলীগের কর্মীদের দেশের সম্পদ। তাদের স্পি‌রিট, কমিউনিকেশন স্কিল অ্যান্ড অ‌্যাফোর্ড কাজে লা‌গিয়ে কীভাবে তাদের কাজে সংযুক্ত করা যায়, সে পন্থা আমাদের বের করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন কোষাধ্যক্ষ মো. আনোয়ারুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি আখতারুল ইসলাম, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক আমিনা পারভীন, প্রক্টর মো. ইশরাত ইবনে ইসমাইল, ছাত্র প্রতিনিধি খলিলুর রহমান, হলের প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবু সাইদ আরেফিন খান, সৈয়দ মুজতবা আলীর ভাতিজা সৈয়দ রুহুল আমিন প্রমুখ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাহিত্যিক ও বহুভাষাবিদ সৈয়দ মুজতবা আলীর স্মৃতিচারণ করেন। বলেন, সৈয়দ মুজতবা আলীর পরিবারের সঙ্গে আমাদের একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তিনি একজন দূরদর্শী সম্পন্ন মানুষ ছিলেন। পাকিস্তান সৃষ্টির পর বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য অনেক ত্যাগ তিতিক্ষা ও সংগ্রাম করেছেন তিনি। রাষ্ট্রভাষার এক অগ্রদূত ছিলেন সৈয়দ মুজতবা আলী।