ঢাকা, ৬ পৌষ (২১ ডিসেম্বর) : নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘নারীর পোশাকে ঐতিহ্য’ এই স্লোগানকে ধারণ করে ‘নাইয়োরী জামদানি’ সারাদেশে প্রসার ঘটিয়ে চলছে বাংলার নারীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক ‘জামদানি শাড়ি’। ২০১৬ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি রাজধানী ঢাকা থেকে সারাদেশের গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে নিজস্ব বুনন ও কারুকাজ খচিত বস্ত্রশিল্পের এই ঐতিহ্যবাহী পোশাকটি। আকর্ষণীয় ডিজাইন ও গুণগত মান অটুট হওয়ায় শাড়িপ্রেমীদের কাছে ‘নাইয়োরী জামদানি’ হয়ে উঠেছে আস্থার প্রতীক। সাধারণ গ্রাহকদের পাশাপাশি তাঁর তৈরিকৃত জামদানি শাড়ি ব্যবহার করছেন বাংলাদেশের খ্যাতনামা চলচ্চিত্র শিল্পীরাও। এতে আস্থা ও ভালোবাসার জায়গা থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেশ জনপ্রিয়তাও অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সম্প্রতি কথা হয় প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার ও নারী উদ্যোক্তা ফারহানা আফরোজ এর সাথে। এই নারী উদ্যোক্তার সাথে আলাপনকালে জানা যায়, তাঁরই তত্ত্বাবধায়নে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে প্রায় অর্ধশতাধিক তাতশিল্পীর সমন্বয়ে শাড়িপ্রেমীদের জন্য তিনি তৈরি করছেন ‘জামদানি শাড়ি’। এছাড়াও সারাদেশের বিভিন্ন প্রান্তরে থাকা তাতশিল্পীদের সমন্বয়ে তিনি নিজ প্রতিষ্ঠিত ‘নাইয়োরী জামদানী’র জন্য গড়ে তুলেছেন উৎপাদন ব্যবস্থা। গ্রাহকদের অর্ডার করা ডিজাইনের আলোকেই মানসম্পন্ন সুতা দিয়ে তিনি তৈরি করেন ঐতিহ্যবাহী জামদানি শাড়ি। সেই সাথে নিজস্ব ডিজাইনের আলোকে সারাবছরই তিনি তৈরি করে আসছেন বাংলার নারীদের পছন্দের শীর্ষে থাকা এই পোষাকটি।
নিজ প্রতিষ্ঠানের জন্য জামদানি শাড়ি উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে ‘নাইয়োরী-Naiyoree-Jamdani’র প্রতিষ্ঠাতা ফারহানা আফরোজ জানান, আসলে গ্রাহকদের জন্য উন্নত মানের রেশম সুতা দিয়ে আমরা নিজেরাই জামদানি বুনন করি। এছাড়াও অনেকেই আছেন যারা নিজেদের পছন্দের ডিজাইন আমাদেরকে পাঠায় তখন আমরা সেই ডিজাইনেই জামদানি শাড়িগুলো তৈরি করি। তবে, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে গ্রাহকদের যাতে ‘নাইয়োরী জামদানি’র শাড়িগুলোই পছন্দ হয়ে যায় সেজন্য আমরা নিজস্ব ডিজাইনের দিকটি সবসময় খেয়াল রাখি।
নারী উদ্যোক্তা ফারহানা আফরোজ এর প্রতিষ্ঠিত ‘নাইয়োরী-Naiyoree-Jamdani’র গ্রাহক জনপ্রিয়তার ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রতিবেদককে তিনি বলেন, জনপ্রিয়তার কথা যদি বলতে চাই, তাহলে বলব শাড়িপ্রেমীরা আমাদের জামদানির মান দেখেই আমাদেরকে ভালোবাসতে শিখেছে। তাদের এই ভালোবাসা আছে বিধায়-ই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। মূলত ফেসবুকে ‘নাইয়োরী-Naiyoree-Jamdani’ নামে আমাদের একটি পেজ রয়েছে। যেহেতু দীর্ঘদিন ধরেই এই সেক্টরে কাজ করে আসছি তাই গ্রাহকরা আমাদের ওই পেজের সাথে যুক্ত রয়েছেন। আমাদের তৈরি জামদানিগুলো সেখানে পোস্ট করা হলে সেখান থেকেই গ্রাহকরা আমাদের সাথ যোগাযোগ করে থাকেন। আর তাছাড়া স্যোসাল মিডিয়ায় আমাদের মার্কেটিং টিম সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে তিনি আরো জানান, ফেসবুকে ‘নাইয়োরী-Naiyoree-Jamdani’ পেজে এবং গ্রুপে আমাদের তৈরি শাড়িগুলোর ছবি রয়েছে, গ্রাহকরা চাইলেই সেখান থেকে অর্ডার করতে পারবেন। অর্ডার পরবর্তী আমাদের নিজস্ব ডেলিভারি ব্যবস্থায় ঢাকাসহ দেশের যেকোন স্থানে ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রোডাক্ট পৌঁছে যাবে। গ্রাহকরা ক্যাশ অন ডেলিভারির মাধ্যমে শাড়িগুলো নিয়ে নিতে পারবে। তবে দেশের বাইরে থেকে যে অর্ডারগুলো আসে সেগুলো ডেলিভারি দেয়ার ক্ষেত্রে আমরা অগ্রিম পেমেন্ট নিচ্ছি।