ঢাকা, ১৮ চৈত্র (১ এপিল) :

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, স্বল্পস্থায়ী জলবায়ু
দূষণকারী হ্রাসের মাধ্যমে বায়ুর গুণমান উন্নত করতে এবং স্বল্পমেয়াদী জলবায়ু পরিবর্তন
মোকাবিলায় বাংলাদেশ আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের স্বল্পস্থায়ী জলবায়ু
দূষণকারী হ্রাসের জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় ১১টি অগ্রাধিকারমূলক প্রশমন ব্যবস্থা চিহ্নিত
করা হয়েছে – যার মধ্যে ৫ টি লক্ষ্যমাত্রা প্রধান মিথেন নির্গমন উৎস।

আজ প্যারিসে অনুষ্ঠিত ক্লাইমেট অ্যান্ড ক্লিন এয়ার কোয়ালিশনের মন্ত্রী পর্যায়ের
সম্মেলনের ১০ম বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি; ঘানার পরিবেশ, বিজ্ঞান,
প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন মন্ত্রী ড. কোয়াকু আফ্রি; ক্লাইমেট অ্যান্ড ক্লিন এয়ার কোয়ালিশনের
অংশীদার মন্ত্রী ও প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়ন ও দারিদ্র্য দূরীকরণের প্রেক্ষাপটে জলবায়ু পরিবর্তন
মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টায় সক্রিয় ভূমিকা রাখছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ উচ্চাভিলাষী
প্রশমন লক্ষ্যমাত্রাসহ নিঃশর্ত এবং শর্তসাপেক্ষ উভয় লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি করে হালনাগাদ
জলবায়ু প্রশমণ পরিকল্পনা জমা দিয়েছে। স্বল্পস্থায়ী জলবায়ু দূষণকারী এর সম্ভাব্যতা উপলব্ধি
করে আমাদের আপডেট করা জলবায়ু প্রশমণ পরিকল্পনার লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ২০৩০ সালের
মধ্যে গৃহস্থালির শক্তি নির্গমন ১৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ, ইট ভাটা খাতের নির্গমন ৪৬ দশমিক ৫৪
শতাংশ এবং কঠিন পৌর বর্জ্য এবং বর্জ্য জল নির্গমন ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ হ্রাস করা।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পস্থায়ী জলবায়ু দূষণকারী কমানোর জাতীয় কর্মপরিকল্পনা
সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হলে ২০৪০ সাল নাগাদ ১৬ হাজার ৩০০ অকাল মৃত্যু রোধ করবে, কালো
কার্বন নিঃসরণ ৭২ শতাংশ এবং মিথেন নিঃসরণ ৩৭ শতাংশ কমানো সম্ভব হবে।