ঢাকা, ১০ আষাঢ় (২৪ জুন) :
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে,
খাদ্য ঘাটতিও নেই। খাদ্য মজুদের পরিমান আরো বাড়ানো হবে। মন্ত্রী আজ ঢাকায় খাদ্য
ভবনের সভাকক্ষে ‘বরিশাল স্টিল সাইলো নির্মাণ ও অনলাইন ফুড স্টক মনিটরিং সিস্টেম
ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, উন্নত বাংলাদেশ গঠনের যে কার্যক্রম চলছে তার সাথে সঙ্গতি রেখে
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমকেও আধুনিক ও সময়োপযোগী করা হচ্ছে। আঞ্চলিক খাদ্য
কার্যালয়, জেলা কার্যালয়, উপজেলা কার্যালয়সহ খাদ্যগুদামসমূহ অনলাইন মনিটরিং এর
আওতায় আসলে খাদ্য বিভাগের কার্যক্রমে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চ্তি হবে।
তিনি আরো বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে খাদ্যের মজুদ যাতে বেশি করা যায় সে লক্ষ্যে স্টিল
সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ময়মনসিংহ, আশুগঞ্জ ও মধুপুর সাইলোর নির্মাণ
কাজ শেষের পথে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এগুলো হস্তান্তর হবে। আরও ৫টি স্টিল
সাইলো শীঘ্রই নির্মাণের কাজ শুরু হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসকল সাইলোতে
কীটনাশক ব্যবহার না করে অত্যাধুনিক কুলিং সিস্টেমে খাদ্যশস্য সংরক্ষণ করা হবে, যা
দুই বছর পর্যন্ত খাদ্যশস্যের গুণগতমান ও পুষ্টিমান অক্ষুণ্ন রাখবে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ-ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’
লক্ষ্যকে সামনে রেখে খাদ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে। কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে
সারাদেশে ২০০ পেডি সাইলো নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। সম্প্রতি ৩০টির অনুমোদন
পাওয়া গেছে। এগুলো নির্মিত হলে প্রান্তিক কৃষক সহজেই ধান সরবরাহ করতে পারবেন। ২৪
শতাংশ ময়েশ্চারাইজার থাকলেও কৃষকের ধান নেওয়া সম্ভব হবে। স্টিল সাইলোতে পরে সে
ধান প্রক্রিয়াকরণ করে উন্নতমানের চাল পাওয়া সম্ভব হবে। মন্ত্রী প্রকল্পের মেয়াদের
মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। কাজের গুণগতমানের সাথে কোনো সমঝোতা হবে
না উল্লেখ করে চুক্তি স্বাক্ষরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতি সময়মতো কোয়ালিটি কাজ নিশ্চিত
করার আহ্বান জানান তিনি।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন বেক্সিমকো কম্পিউটার্স লিমিটেডের সিনিয়র এডভাইজর সামিরা
জুবেরী হিমিকা ও কনফিডেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড বাংলাদেশ’র ভাইস চেয়ারম্যান
ইকরাম উদ্দিন।
পরে খাদ্য অধিদপ্তরের সাথে বেক্সিমকো কম্পিউটার্স লিমিটেড’র চুক্তি
স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তির আওতায় বেক্সিমকো কম্পিউটার্স খাদ্য অধিদপ্তরের ৬৪
জেলায় ১ হাজার ২০০ শত সাইটে অনলাইন কানেক্টিভিটি নিশ্চিতের মাধ্যমে অনলাইন
মনিটরিং সম্ভব হবে এবং একই সাথে অধিদপ্তরের ৩৫ হাজার জনবলকে প্রশিক্ষণের
মাধ্যমে আইটিতে দক্ষতা বাড়াতে কাজ করবে। অধিদপ্তরের সাথে কনফিডেন্স
ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড বাংলাদেশ ও জিএসআই ইউএসআই জেভির চুক্তি স্বাক্ষরিত
হয়। এ চুক্তির শর্তানুসারে তারা বরিশাল স্টিল সাইলো নির্মাণ করবে। ৪৮ হাজার মেট্রিক
টন ধারণ ক্ষমতার এ সাইলো খাদ্যের মজুদ বৃদ্ধির পাশাপাশি খাদ্যের গুণগত মান ও
পুষ্টিমান বজায় রাখতে ভূমিকা রাখবে।