মানিকগঞ্জ, ২৪ চৈত্র (৭ এপ্রিল) :
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে
খাদ্যের কোন সংকট নেই, একটি মানুষও না খেয়ে নেই। অথচ বিএনপির একদল নেতা সারাদিন শুধু
টেলিভিশনে ও পত্রপত্রিকায় খাদ্য সংকটের কোরাস গেয়ে চলেছে, যা শুনলে মনে হয় দেশে দুর্ভিক্ষ
চলছে, মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছে। কিছু বুদ্ধিজীবী ও সুশীলসমাজও এ কোরাসের সাথে সুর মিলিয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী আজ মানিকগঞ্জের সিংগাইর ও ঘিওর উপজেলায় ব্রিধান ৮৯ ও ৯২ এর বীজ
উৎপাদন মাঠ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।
পরিদর্শনকালে কৃষিসচিব মো: সায়েদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
বেনজীর আলম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক মো: শাহজাহান কবীর,
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহা. আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান, কৃষি
সম্প্রসারণের উপপরিচালক এনায়েত উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া-তারেক রহমানরা যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন প্রতিদিনই মানুষ না
খেয়ে থেকেছে, প্রতিবছর মঙ্গায় মানুষ না খেয়ে মারা গেছে। সেসময়ের পত্রপত্রিকার পাতা উল্টালেই
দেখা মেলে খাদ্যের জন্য হাহাকার আর অনাহারে মৃত্যুর খবর। অন্যদিকে, গত ১৩ বছরে আওয়ামী
লীগের আমলে একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, চালের উৎপাদন বাড়াতে উচ্চ ফলনশীল ব্রিধান ৮৯ ও ব্রি ৯২ দ্রুত
সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এ দুটি বোরো জাতের ধানের উৎপাদন প্রতি শতাংশে প্রায় ১ মণ। এটিকে
দ্রুত মাঠে নিয়ে যেতে চাই। সেজন্য এসব জাতের বীজ উৎপাদনের জন্য এবার কৃষকদেরকে
বিনামূল্যে বীজ দেওয়া হয়েছে। সারাদেশে জনপ্রিয় করতে প্রয়োজনে কৃষকদেরকে আরো প্রণোদনা
দেওয়া হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, একদিকে করোনা মহামারি রয়েছে, অন্যদিকে যুদ্ধের কারণে ইউক্রেন ও
রাশিয়া থেকে গম আসছে না। ইতোমধ্যে বিশ্বের অনেক দেশেই দুর্ভিক্ষের হাতছানি দেখা যাচ্ছে।
সেজন্য, কৃষি উৎপাদনে আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকতে হবে। কাজেই কৃষিজমি রক্ষার দায়িত্ব
আমাদের সকলের। কৃষিজমি রক্ষায় যে আইন হয়েছে, আইনশৃঙ্খলাবাহিনী, প্রশাসন,
জনপ্রতিনিধিসহ সবাই মিলে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। শিল্পায়নও করতে হবে, আবার কৃষিজমিও
রক্ষা করতে হবে। এ দুটির মধ্যে ভারসাম্য আনতে হবে।
এসময় কৃষিমন্ত্রী কৃষকদের মাঝে উন্নতমানের পেঁপের চারা বিতরণ করেন।