চতুর্থ দিনটি ভালোই শুরু করেছিল বাংলাদেশ। টাইগারদের লক্ষ্য ছিলো কিউইদের সামনে বড় রানের স্কোর গড়ে তোলা। সে লক্ষ্যে মাঠে নেমে ৩৩ রানের জুটি দলীয় স্কোর ৭১ রানে দাঁড় করান করেছিলেন মুমিনুল হক ও জাকির হাসান। তবে থিতু হওয়ার চেষ্টায় থাকা মুমিনুলকে এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে ফেলে সেই জুটি ভেঙে দেন অ্যাজাজ প্যাটেল। তার আগে বাঁহাতি এই ব্যাটার করেন ১৯ বলে ১০ রান।
এরপরই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের রক্ষণ। একে একে সাজঘরের পথে হাঁটেন মুশফিকুর রহিম ও শাহাদাত হোসেন দিপু। ১৭ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
ব্যাট করতে নেমে পিচে সেটই হতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। খেলেন মাত্র ১২ বল। ৯ রান তুলে মিচেল স্যান্টনারের ঘূর্ণিতে স্লিপে থাকা ড্যারিল মিচেলের হাতে ধরা পড়েন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। এরপর স্যান্টনারের দ্বিতীয় শিকার হন শাহাদাত। ১১ বলে ৪ রান করে এলবিডব্লিউ হন এই ডানহাতি।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ২২ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৯০ রান। জাকির হাসান ৩৯ রানে অপরাজিত আর মেহেদী হাসান মিরাজ এখনো রানের খাতা খুলতে পারেননি।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ১৭২ রানের জবাবে ৮ রানের লিড নিয়ে ১৮০ রানে থামে নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে জবাব দিতে নেমে ২ উইকেটে ৩৮ রান তোলে বাংলাদেশ। আলোক স্বল্পতার কারণে আগেভাগেই শেষ হয়ে যায় তৃতীয় দিনের খেলা।
৮ রানের লিডে খেলতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে বসে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। দলীয় ৩ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন মাহমুুদুল হাসান জয় (২ বলে ২)। এরপর ৩৮ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট বিলিয়ে দেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ২৪ বলে ১৫ রান করেন এই বাঁহাতি।
এর আগে বৃষ্টির কারণে দেড় দিন পর ৫৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংস শেষ করতে মাঠে নেমে নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের সামনে বড় লিড দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছিলেন ড্যারিল মিচেল ও গ্লেন ফিলিপস। মিচেলকে বেশিদূর এগোতে দেয়নি বাংলাদেশ।
গ্লেন ফিলিপস অবশ্য দারুণ লড়েছেন। অবশেষে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮ রানের লিড দিয়ে ফেরত যান এই কিউই ব্যাটার। তার ফেরত যাওয়ার পর আর কোনো রান যোগ না করে ১৮০ রানে অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। সেঞ্চুরির পথে হাঁটা ফিলিপসকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। বাঁহাতি এই পেসারের ফুল লেন্থের বলে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসানের হাতে ক্যাচ হন তিনি। ৭২ বলে ৮৭ রান করেন তিনি।
এর আগে মিচেলকে আউট করে কিউইদের ৬০ বলে ৪৯ রানের জুটি ভাঙেন অফস্পিনার নাঈম হাসান। ২১তম ওভারে নাঈমকে লং অন অঞ্চলে আকাশে তুলে মারেন মিচেল। মিড অফ অঞ্চল থেকে দৌড়ে এসে ৩৯ বলে ১৮ করা মিচেলকে দুর্দান্ত ক্যাচ বানান মেহেদী হাসান মিরাজ।
এরপর ব্যাক টু ব্যাক বল করতে এসে মিচেল স্যান্টনারকে ফেরালেন নাঈম। ব্যাটের কানায় বল লাগিয়ে প্রথম স্লিপে থাকা নাজমুল হোসেন হাতের ধরা পড়েন স্যান্টনার। ৭ বলে ১ রান করেন এই কিউই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ১৮০ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড।
বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। ২টি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম ও নাঈম হাসান।