ঢাকা, ৪ ভাদ্র (১৯ আগস্ট) :
এদেশের মাটিতে ধর্মান্ধদেরকে আর কোনোদিন মাথা তুলে দাঁড়াতে ও রাজনীতিতে
প্রভাব বিস্তার করতে দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর
রাজ্জাক। তিনি বলেন, ধর্মান্ধদের শেকড় যত গভীরেই হোক না কেন-তাদের শেকড় সমূলে
উপড়ে ফেলা হবে। যে কোনো মূল্যে তাদেরকে মোকাবেলা করা হবে।

মন্ত্রী আজ কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২১
উপলক্ষে রাজধানীর ফার্মগেটে বিএআরসি মিলনায়তনে 'দোয়া মাহফিল ও আলোচনা
সভায়' প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৫ আগস্টে শহিদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও
বঙ্গবন্ধুর পরিবারের শহিদ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এবং তাঁদের
আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে সারা পৃথিবীর মানবজাতির মুক্তির মহান
নেতা হতেন। সারা পৃথিবীতে যারা মানবতার শত্রু, যারা নানা কারণে পৃথিবীব্যাপী
বর্বরোচিতভাবে জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড চালায়; যারা জঙ্গিবাদে বিশ্বাস করে ও জঙ্গি
বানায়- তাদের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর প্রতিবাদী কণ্ঠ ও অবস্থান থাকত সবার উপরে।
বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে মানবতা ও মানবাধিকারকে সর্বোচ্চ স্থানে অধিষ্ঠিত করতে
পারতেন।
কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কৃষি বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়ন
করতে চেয়েছিলেন। আজকে দেশের সার্বিক উন্নয়নের ভিত্তি রচনা করে দিয়েছে এ দেশের
কৃষি। বঙ্গবন্ধু কৃষি উন্নয়নের যে ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন, সে ধারাবাহিকতায় তাঁরই
সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই  কৃষিতে এই বিস্ময়কর সাফল্য
এসেছে। এ সাফল্যকে আরও বেগবান করতে কৃষিবিদ, বিজ্ঞানীসহ সকলকে আন্তরিকতার
সাথে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মেসবাহুল
ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোঃ আব্দুর
রৌফ। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব
হাসানুজ্জামান কল্লোল। অন্যান্যের মধ্যে হোসনে আরা এমপি ও সংস্থা প্রধানগণ বক্তব্য
রাখেন। এসময় সশরীরে ও সারা দেশ থেকে ভার্চুয়ালি প্রায় সাত শতাধিক কর্মকর্তা
উপস্থিত ছিলেন।