০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩:

ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও প্রতিবেশী সিরিয়ায় বেড়েই চলেছে লাশের সারি।

তবে ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে দেড় বছরের শিশুকন্যা রাঘাদ ইসমাইলকে। কিন্তু  শিশুটির পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য, বিশেষ করে মা আর ভাইবোন বেঁচে নেই। সোমবার দুপুরে সিরিয়ার আজাজ শহরের ধ্বংসস্তুপ থেকে শিশু রাঘাদ ইসমাইলকে বুকে জড়িয়ে আনেন এক উদ্ধারকর্মী। শিশুটিকে দেখে তার চাচা জানান, ওর গর্ভবতী মা আর দুই ভাই-বোন মারা গেছে।

এ পর্যন্ত চার হাজার ৩৭২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে শুধু তুরস্কেই মারা গেছে দুই হাজার ৯২১ জন। আর আহত হয়েছে ১৫ হাজার ৮৩৪ জন। তুরস্কের দুর্যোগ সেবা বিভাগের প্রধান ইউনুস সেজের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অন্যদিকে, একই ঘটনায় প্রতিবেশী সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪১ জনে। দেশটিতে আহত হয়েছে তিন হাজার ৫৩১ জন।

শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের পর এখন পর্যন্ত ১০০টি আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে। এসব আফটারশকের মাত্রা ছিল ৪ বা তার বেশি ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) এর তথ্যানুসারে, স্থানীয় সময় সোমবার সকালে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর থেকে ৪.০ বা তার বেশি মাত্রার অন্তত ১০০টি আফটারশক হয়েছে।

মূল ভূমিকম্পের সময় যত বাড়ে, আফটারশকের ফ্রিকোয়েন্সি এবং তীব্রতাও কমতে থাকে। তবে ৫ থেকে ৬ প্লাস মাত্রার আফটারশক এখনও ঘটতে পারে এবং মূল ভূমিকম্পের সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়। আফটারশকগুলো উদ্ধারকারী দল এবং ধ্বংসস্তুপে আটকা পড়া জীবিতদের জন্য একটি ক্রমাগত হুমকির কারণ হয়ে থাকে।

সূত্র: সিএনএন