১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩:
শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল ও প্রতিবেশী সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ভূমিকম্প কবলিত ওই এলাকা। যত দূর চোখ যায় তত দূর শুধু ধ্বংসস্তূপ। চারিদিকে মৃত্যুমিছিল, শুধুই হাহাকার। এর মধ্যেও আশার আলো! ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ১০৪ ঘণ্টা আটকে থেকেও বেঁচে ফিরলেন এক নারী। তাকে উদ্ধার করলেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা।
উদ্ধারকৃত ওই নারীর নাম জেয়নেপ কাহরামান। বয়স ৪০ বছর। শুক্রবার তুরস্কের কিরিখান শহরের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয় তাকে।উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর সময় সকলের মুখে খুশির ঝলক দেখা যায়। উদ্ধারকারী দলের প্রধান স্টিভেন বায়ার বলেন, “এখন আমি অলৌকিকতায় বিশ্বাস করি।”
জেয়নেপকে উদ্ধারের পর হাততালিতে ফেটে পড়েন সামনে উপস্থিত জনতা। জার্মান উদ্ধারকারী দলের কর্মীদের জড়িয়ে ধরেন তার বোন জুবেয়দ। জেয়নেপের পরিবার সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, সোমবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর তার বেঁচে থাকার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন তারা। প্রায় দু’দিন পর কিরিখান শহরে এসে পৌঁছায় উদ্ধারকারী দল। উদ্ধারকাজ চলার সময়ই তারা টের পান ধ্বংসস্তূপের নিচে বেঁচে রয়েছেন জেয়নেপ। তাকে পাইপের মধ্যে দিয়ে পানীয় সরবরাহ করেন তারা। অবশেষে উদ্ধার করা হয় তাকে।
এদিকে, ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পে তুরস্কে ও সিরিয়ায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ হাজার ৭০০ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শুধু তুরস্কেই নিহত হয়েছে ২০ হাজার ২১৩ জন। আর প্রতিবেশী সিরিয়ায় নিহত হয়েছে তিন হাজার ৫০০ জন।স্থানীয় সময় সোমবার ভোরে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল ও প্রতিবেশী সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে।দুই দেশের কবলিত এলাকায় ধসে পড়া কয়েক হাজার ভবন। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে বহু মানুষ। দুই দেশেই উদ্ধার কাজ এখনও চলছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সূত্র: রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান, আল জাজিরা