১২ জুন ২০২৩:
এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নড়াইল সদর উপজেলার মহিষখোলা ও পাইকমারি গ্রামে ব্যাপক ভাংচুর এবং লুটপাট করেছে প্রতিপক্ষরা। এছাড়া প্রতিপক্ষের হামলায় ৭জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদেরকে ঢাকা, যশোর, খুলনাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত ২ জুন বিকেলে এ হামলার ঘটনায় ৫টি মামলা দায়ের হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বরং আসামিরা ভুক্তভোগীদের বাড়িঘর ছাড়ার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাটবাজারসহ বাইরে যেতে ভয় পাচ্ছেন তারা।
ভুক্তভোগীরা জানান, প্রতিপক্ষ শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে ওয়াজির হোসেন, শওকত মোল্যা ও জানালুর সরদারের বাড়িঘর, আসবাবপত্র, বাথরুম, ফ্রিজ, গরুর খামারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ব্যাপক ভাংচুর হয়েছে। এর মধ্যে ওয়াজির হোসেনের বাড়ি থেকে ব্যাংক ঋণের ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা এবং স্বর্ণালংকার লুট হয়েছে। এছাড়া শওকত মোল্যার বাড়ি থেকে ৩০ মণ ধান এবং গরু বিক্রির দেড় লাখ টাকা লুট করেছে প্রতিপক্ষরা। বাড়িঘরসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভাংচুরের ধ্বংসাবশেষ এখনো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। আতঙ্কের মধ্যে আছেন ক্ষতিগ্রস্থরা।
এ ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন ভুক্তভোগী ওয়াজির হোসেনসহ তাদের লোকজন।
এ ব্যাপারে নড়াইল সদর থানার ওসি ওবায়দুর রহমান জানান, আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।